বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গনি মন্ডলকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গতকাল দুপুরে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের বড় ছেলে মো. আলমগীর হোসেন মন্ডল বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ওমর আলী মোল্লা পাড়ার কাশেম মন্ডলের ছেলে মো. রাজীব মন্ডল, ২নং বেপারী পাড়ার কাশেম ফকিরের ছেলে কাউছার ফকির, ওমর আলী মোল্লা পাড়ার কাশেম মন্ডলের ছেলে রহমান মন্ডল, লোকমান চেয়ারম্যান পাড়ার আবুল ডাক্তারের ছেলে খাইরুল ও গোয়ালন্দ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কছিমদ্দিন সরদার পাড়া রেলগেট এলাকার মাইনদ্দীনের ছেলে আলামিন। মামলায় ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বাদী তার ফুফাতো ভাই ইমনের নাম উল্লেখ করেছেন। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১ ও ৩নং আসামি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলের শ্যালক এবং ২নং আসামি ভাগ্নে।
গত ১৯ মার্চ রাতে গোয়ালন্দ পৌর এলাকায় চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তিনি গুরুতর অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই মামলায় গনি মন্ডল বা তার কাছের কাউকে আসামি করা হয়নি। আসামিরা অধিকাংশই পৌর এলাকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পূর্বপাশে সোবাহান মোল্লার চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ইউপি সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গনি মন্ডল। এসময় মোটর সাইকেল যোগে এসে আসামিরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। শুক্রবার জানাযা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, বাদীর দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে এ হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
আসামিদের গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উৎঘাটনে পুলিশ মাঠে নেমেছে। তবে চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সাথে এ হত্যাকান্ডের কোন যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।