বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আইয়ুব আলী : কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে মসলার বাজার বেজায় তেজী। মসলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়েছে এসব পণ্যের। কোরবানির অনুষঙ্গ জিরা, এলাচি, দারুচিনি, গোলমরিচ, লবঙ্গসহ মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা বাড়ায় দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়েছে জিরা ও এলাচি। পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামও।
পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও মসলা, আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম বাড়াকে ব্যবসায়িক কারসাজি উল্লেখ করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তদার ও আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটের কারণেই এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম তুলনামূলক কম থাকলেও কোরবানির ঈদকে ঘিরে আমদানিকারকরা মসলার দাম বাড়িয়েছেন।
গত এক মাসে মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কালিজিরার। আগের তুলনায় কালিজিরার দাম বেড়েছে আড়াই গুণেরও বেশি। একমাস আগে কালিজিরা ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হয়েছে, এখন কেজি ৪২০ টাকা। কালিজিরার পাইকারি দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২৬০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া এক মাসের ব্যবধানে প্রায় দেড়গুণ দাম বেড়েছে এলাচির। ভালো মানের এলাচ একমাস আগে ছিল কেজি ১৩২০, এখন তা কেজি ১৭শ’ টাকা। ভালো মানের এলাচের পাইকারি দাম এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৪শ’ টাকা বেড়েছে।
কালিজিরা ও এলাচি ছাড়া পাইকারি পর্যায়ে অন্যান্য মসলার মূল্য কিছুটা বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে তা দ্বিগুণও হয়ে গেছে স্থান ভেদে। ছোট এলাচি কেজি ১৩৬০ টাকা, বড় এলাচি কেজি ১৭০০, দারুচিনি কেজি ২৬০-২৮০, জিরা কেজি ৩১০-৩৫০, লবঙ্গ কেজি ১১৫০-১২২০, সাদা গোলমরিচ কেজি ১৫৬০-১৬২০, কালো গোলমরিচ কেজি ১০২০, ধনিয়া কেজি ১২০, আলুবোখারা কেজি ৩৯০, কিসমিস ২৮০-৩২০ ও কাঠবাদাম কেজি ১০২০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে ভারত, চীন, সিরিয়া, ভিয়েতনাম ও শ্রীলংকা থেকে আমদানিকৃত মসলার বেশ কয়েকটি চালান বাজারে প্রবেশ করেছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ ও মজুদ থাকলেও দু’একটি পণ্য ছাড়া মসলা জাতীয় সব পণ্যের কিছুটা দাম বেড়েছে। বিশেষ করে জিরা ও এলাচের দাম বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। তাদের দাবি, আড়ৎদার এবং আমদানিকারকরা পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে এসব পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে তারা ফায়দা লুটছেন।
এদিকে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগরীর কাঁচাবাজারে বাড়তে শুরু করেছে আদা ও রসুনের দাম। দাম বেড়েছে পেঁয়াজেরও। চাহিদা বাড়তে থাকায় পাইকারিতে দাম বেড়েছে আদা ও রসুনের, যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। চায়না আদা গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৪৫ টাকায়। ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৫ থেকে ২৬ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২০-২২ টাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।