Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাটহাজারীতে তান্ডবকারীরা সরকারী দলের সন্ত্রাসী : হেফাজতে ইসলাম

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২১, ৭:৪২ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাটহাজারীতে হরতাল-বিক্ষোভ কর্মসূচী চলাকালে হেফাজতের নেতাকর্মী ও তৌহিদি জনতা পুলিশের নির্বিচার গুলির জবাবে আত্মরক্ষার্থে সারা দেশে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোন ধরণের তান্ডবের সাথে হেফাজত জড়িত নয়। হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও তৌহিদি জনতার জড়িত থাকার প্রমাণও নেই।


শনিবার হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন। তিনি অভিযোগ করেন ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী বাহিনী চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে। তিনি এর তীব্র নিন্দাও জানান।

আজিজুল হক বলেন, রাজপথে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করার সাংবিধানিক অধিকার থেকে হাটহাজারিতে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় হেফাজতে ইসলাম শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল কর্মসূচী পালন করেছে। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের হরতাল ও বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের সহায়তায় নিয়োজিত চাপাতি-রামদা হাতে হেলমেট পরিহিত আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

বিরোধী পক্ষের ওপর দায় চাপানোর জন্য এ ধরনের হামলার ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। এবারও তান্ডব চালিয়ে হেফাজতে ইসলামের ওপর সেটার দায় চাপিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতাল ও বিক্ষোভ কর্মসূচীকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিজিবিসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা সত্ত্বেও সরকারী দলের লোকদের অগ্নিসংযোগ ও তান্ডব চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্বাভাবিক নিষ্ক্রিয়তা ও অনুপস্থিতির বিষয়টি মূলধারার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এমনকি পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
আজিজুল হক বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হলো, হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন স্থাপনায় এত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলো, অথচ তান্ডবকালীন হামলাকারীদের কোনো ভিডিও ফুটেজ বা ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। কারা হামলা করলো বা তান্ডব চালালো, সিসি ক্যামেরায় নিশ্চয়ই সেসবের ফুটেজ থাকার কথা। কিন্তু সেসব ফুটেজ এখনো প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্রগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ