পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশে চলমান প্রথম ডোজের টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে আগামী ৫ এপ্রিল। এ দিনের পর আপাতত প্রথম ডোজের টিকা আর কাউকে দেয়া হচ্ছে না। আর তিন দিনের বিরতি শেষে ৮ এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ক্রয়কৃত টিকা সঠিক সময়ে না আসায় স্বাস্থ্য অধিদফতর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (৩ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স¤প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. শামসুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, প্রথম ডোজের টিকাদান ৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। এখানে কোনো সংখ্যার হিসেব নেই। এর আগে যদি কোনো সেন্টারে হাতে থাকা টিকা শেষ হয়ে যায় তবে সেখানে ওই দিন পর্যন্ত প্রথম ডোজ শেষ করে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকতে হবে। আমরা তাদের কাছে দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাঠাব। আর ৫ এপ্রিলের পরে কোনো কেন্দ্রের হাতে আরও টিকা থাকলে তা দ্বিতীয় ডোজের জন্য রেখে দিতে হবে।
শামসুল হক বলেন, দ্বিতীয় ডোজ ৮ এপ্রিল থেকেই শুরু হবে। আমাদের হাতে যা টিকা আছে, সেটা দিয়েই দ্বিতীয় ডোজ শুরু করে দেবো। দ্বিতীয় ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাতে যা টিকা আছে, সেটা দিয়েই দ্বিতীয় ডোজ শুরু করব। যথেষ্ট পরিমাণে টিকা মজুদ আছে, সুতরাং এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। প্রাথমিক পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম পরিচালনার মতো টিকা মজুদ আছে। বর্তমানে ৪২ লাখ ডোজ টিকা হাতে রয়েছে। আরও পাঁচ লাখ টিকা থেকে যাবে। ৪৫ লাখ ডোজ টিকা যদি আমাদের কাছে মজুদ থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে দ্বিতীয় ডোজ শেষ করতে পারবো।
ডা. শামসুল হক বলেন, যারা প্রথম ডোজ পেয়েছেন তারা আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই মাস পর নির্ধারিত দিনে দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাবেন। ৮ এপ্রিল দ্বিতীয় ডোজ শুরুর দুই একদিন আগে তাদের মোবাইল ফোন নম্বরে এসএমএস যাবে। এদিন প্রথম ডোজের ফরমের অবশিষ্ট অংশ নিয়ে গেলেও হবে। যার যেদিন তারিখ আছে তার দুয়েক দিন আগে এসএমএস যাবে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ৮ এপ্রিল থেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন করে টিকা আনতে আমাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি নেই। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আরও টিকা এসে যাবে। তখন আর সমস্যা থাকবে না।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে টিকা আমদানির বিষয়ে চুক্তি হয়। এরপর ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেশে আসে ২০ লাখ ডোজ টিকা। ২৫ জানুয়ারি কেনা টিকার প্রথম চালান আসে। ওই সময় ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসে দেশে। কেনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসে ২২ ফেব্রুয়ারি। প্রতি চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও ওইদিন ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে। যার ফলে ফেব্রুয়ারির বাকি ৩০ লাখ এবং মার্চ ও বর্তমান এপ্রিল মাসের ৫০ লাখ মিলিয়ে সিরামের কাছে বাংলাদেশের ক্রয়কৃত টিকা পাওনা রয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখ ডোজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।