Inqilab Logo

সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চারঘাটে গাছে বেঁধে শিশু নির্যাতনের ছবি ভাইরাল

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৮ এএম

পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে নির্যাতন করে মালিক নিজেই সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। যা মুর্হূতের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর উপজেলার উত্তর মেরামাতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা চারঘাট পৌরসভার মেরামাতপুর মহল্লার বাসিন্দা। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছেন।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মেরামাতপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

জহিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওই শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি গাছের সঙ্গে বাঁধা সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে ওই কিশোর তার বন্ধুদের নিয়ে মেরামাতপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের পুকুরে গোসল করতে যায়। তার কিছুক্ষণ পরই পুকুরের মালিক সেখানে আসেন। এ ভুক্তভোগী কিশোরের বন্ধুরা পালিয়ে যায়। পরে কিশোরকে কান ধরে পুকুরপাড়ে নিয়ে আসেন জহিরুল। সেখানে শিশুটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। ঘণ্টা খানেক বেঁধে রাখার পর ঘটনাটি দেখে স্থানীয় লোকজন ছেলেটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে জহিরুল ইসলাম ওই কিশোরকে গাছে বেঁধে রাখার দৃশ্য ফেসবুকে শেয়ার করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জহিরুল ইসলাম জানান, ‌'আমার পুকুর থেকে প্রায় সময়ই মাছ চুরি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে ওই ছেলেসহ আরও কয়েকজন মাছ চুরি করছিল। এ সময় আমি তাকে হাতেনাতে ধরি। ভবিষ্যতে যাতে আর অপরাধ না করে সেজন্য আমি তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে একটু শাস্তি দিয়েছি।'

শিশুটির নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন কেনো জানতে চাইলে তিনি জানান, ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেছি, যাতে করে এ ছবি দেখে অন্যরা সচেতন হয়।

ওই কিশোরের বাবা জানান, চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলেকে গাছে বেঁধে মারধর করেছে জহিরুল। কিন্তু আমার ছেলে সেখানে গোসল করতে গিয়েছিল। সে এখন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আছে।

রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি কিছুক্ষণ আগেই ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলেই আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ