মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ এনেছিলেন। সে ঘটনায় মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছিলো। তারা কারও নাম উল্লেখ না করলেও সে ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উছঠে হ্যারির ফুফু প্রিন্সেস অ্যানের দিকে। এদিকে, রাজপরিবারে জীবন ছেড়ে দেয়ার পরে প্রিন্স হ্যারি এখন নিজেকে ‘মুক্ত’ বোধ করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর বিষয়টি ‘সর্বকালের সেরা সিদ্ধান্ত’ ছিল বলে তিনি মনে করেন। বৃহস্পতিবার রয়েল ফ্যামিলি সম্পর্কে আটটি বইয়ের লেখিকা জামাইকান বংশোদ্ভূত লেডি কলিন ক্যাম্পবেল দাবি করেছেন যে, রানির কন্যা প্রিন্সেস অ্যানই হ্যারি-মেগানের ছেলে আর্চির গায়ের রঙ কেমন হবে সে সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। ৩৮ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তায় তিনি রাজপরিবারের সাথে সম্পৃক্তদের উদ্ধৃত করেন বলেন, ওই মন্তব্যের পিছনে অ্যান ছিলেন। তার দাবি, প্রিন্সেস অ্যানের ভেতরে মেগানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ ছিল এবং তিনি মনে করতেন রাজপরিবারের প্রতি মেগানের যথেষ্ট ‘সম্মান’ নেই। তবে কলিন এই দাবিও করেন যে, প্রিন্সেস অ্যান মেগান বা আর্চির ত্বকের রঙ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন না, বরং পরিবারে রাজপরিবার সম্পর্কে অনভিজ্ঞ, ভিনদেশী কেউ প্রবেশের বিষয়ে চিন্তিত ছিলেন। তিনি ‘কালচার’ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, কিন্তু হ্যারি সেটি ‘কালার’ মনে করে বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝেছেন।
কলিন জানান, ‘প্রিন্সেস অ্যান হ্যারি ও মেগানের সন্তানের বিষয়ে যথার্থই উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে সেটি মেগানের বর্ণের কারণে নয়, বরং তাদের সংস্কৃতি বুঝতে মেগানের অক্ষমতা ও দৃঢ়তার কারণে। প্রিন্সেস অ্যান বয়স্ক, অভিজ্ঞ, বিনয়ী ও বুদ্ধিমতি। এসব জেনেও মেগান ও হ্যারি তাদের মমতাময়ী ফুফুর প্রকৃত উদ্বেগ বুঝতে পারেননি।’
প্রসঙ্গত, রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় সন্তান প্রিন্সেস অ্যানকে প্রচন্ড ব্যক্তিত্ব এবং তার কথিত সম্পর্কের কারণে ‘বিদ্রোহী রাজকন্যা’ হিসাবে ডাকা হতো। তিনি নিজেই স্বীকার করেছে যে, তিনি সবার ধারণা মতো রূপকথার রাজকন্যা নন। তিনি রাজ পরিবারের কঠোর পরিশ্রমী সদস্য হিসাবেও ভ‚ষিত হয়েছিলেন। গত বছর তিনি একাই ১৪৮ বার সরকারী দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এদিকে ডিউক অব সাসেক্স ৩৬ বছরের প্রিন্স হ্যারি এখন ক্যালিফোর্নিয়ায় তার স্ত্রী মেগান মার্কেল (৩৯) এবং তাদের ছেলে আর্চিকে নিয়ে বসবাস করছেন। তিনি এবং ডাচেস অফ সাসেক্স চলতি বছরের শুরুর দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজপরিবার ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং ২০২০ সালের মার্চ মাসে ব্রিটেন ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
একটি সূত্র দাবি করেছে যে, প্রিন্স তার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘কোনও অনুশোচনা করেন না’ এবং তিনি নতুন জীবন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের ঘনিষ্ঠ একজন ইউএস উইকলিকে বলেন, ‘হ্যারি তার পরিবারের সাথে এই পরিস্থিতি নিয়ে অনুশোচনা করেন না। তিনি এই নতুন জীবন শুরু করা নিয়ে স্বাধীন এবং উচ্ছ্বসিত বোধ করেন।’ সূত্র : ইউকে মেট্রো, ডেইলি মিরর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।