Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোবিন্দগঞ্জে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে থানায় মামলা

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০০ এএম

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক বিধবাকে (৩৫) পালাক্রমে ধর্ষণ করার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামী করেগোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (৩১ মার্চ) দিবাগত মাঝরাতে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের কৌচাকৃষ্ণপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় তিন সন্তানের জননী বিধবা রাতেই পরিবারের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ করে। পরের দিন বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) দুপুরে তারা বৈরাগীর হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামী করে এজাহার জমা দেয়। এরপর গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে এবং ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে গাইবান্ধা সদরে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠায়।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ভিকটিম তার বাবার বাড়ি কৌচাকৃষ্ণপুরে অবস্থান করত। ঘটনার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাহির হলে ধর্ষক হাউসীপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে বাবু মিয়া (৩০) ও একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৫) তাকে মুখ চেপে ধরে অপহরণ করে। প্রথম তাকে তারা অদূরে একটি ইউক্লিপটার্স বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা তাকে পাশেই জিন্নাত আলীর ভুট্টার জমিতে নিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে মুখ ঢেকে অপরিচিত আরও তিনজন ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

এলাকাবাসী জানান, সাপমারা ইউনিয়নের মেরী গ্রামের মরহুম আনোয়ার হোসেন প্রায় একযুগ আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে কৌচা কৃষ্ণপুর গ্রামে। সংসার জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম হয়। ছোট সন্তানের জন্মের পরপরই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। আনোয়ারের ছোট সন্তানের বয়স বর্তমান ছয় বছর।

ভিকটিমকে তারা শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। তারা বলেন, ধর্ষক বাবু এ ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেয় এবং বলে, ঘটনা প্রকাশ করলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করব।

এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

বৈরাগীর হাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিলন চ্যাটার্জী জানান, ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণধর্ষণ

১৯ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ