পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদের নামে রাজধানীতে অরাজকতা চালিয়েছে পাঠাও, উবারের চালকেরা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন রাজধানীবাসী। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সময় হর্ন বাজিয়ে মোটরসাইকেল চালকরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এতেও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে গত বুধবার রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করা হয়। এ নিষেধাজ্ঞা আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য বা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। এর আগে বাসে ৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
এমন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর শাহবাগ, পল্টন, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি, মিরপুর, আগারগাঁও, ধানমন্ডি, মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাও ও উবার চালকরা মোটরসাইকেল নিয়ে অবস্থান করেন। এ সময় কোথাও কোথাও সীমিত আকারে যান চলাচল করলেও বেশিরভাগ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করে পাঠাও, উবারের চালকেরা। এ সময় কয়েকশত মোটরসাইকেল রাস্তায় রেখে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।
ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, গতকাল দুপুরে পাঠাও, উবারের চালকেরা শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে সীমিত আকারে যান চলাচল করে। পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দুপুর দেড়টার দিকে জড়ো হন মোটারসাইকেল চালকেরা। তারা সড়কে মোটরসাইকেল রেখে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। এ সময় দাবি আদায়ে তারা সেøাগান দেন। তারা রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এরপর রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানী ধানমন্ডি ২৭, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ি এলাকাতেও মোটরসাইকেল চালকেরা অরাজকতা চালিয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। মিরপুরের বাসিন্দা তুহিন মিয়া জানান, গতকাল সকালে তিনি রোগী নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরে বাসায় ফেরার পথে উবার-পাঠাও চালকদের হয়রানির শিকার হয়েছেন। তাদের অরাজতকার কারণে দীর্ঘ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাকে। তবে জাকির হোসেন নামের এক মোটরসাইকেলচালক বলেন, এক বছর ধরে এটাই তার উপার্জনের একমাত্র পথ। হঠাৎ এই সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেলে পরিবার নিয়ে তাকে না খেয়ে থাকতে হবে।
ডিএমপি ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডিসি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠাও-উবার চালকরা মোটরসাইকেল নিয়ে অরাজকতা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তৎপরতায় তারা অরাজতকতা চালাতে পারেনি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের মার্চের শেষে সব যানবাহনের মত রাইড শেয়ারিং সেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল। ৩১ মের পর বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলেও রাইড শেয়ারিং সেবা শুরুর অনুমতি দেয়া হয়েছিল আরও পরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।