Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাহাড়ে নতুন প্রজাতির কলা সূর্যমুখী

সুন্দর-সুস্বাদু দুই দিক থেকেই

এস. কে. এম. নূর হোসেন, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৬ এএম

কলার নাম সূর্যমুখী। মোচা সূর্যের মতো ফুটে। লাল হয় বলে এর নাম সূর্যমুখী কলা। দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। দেশে বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়। এরমধ্যে রয়েছে চম্পা, সাগর, অমৃত সাগর, দুধসর, দুধসাগর, শবরি, চন্দন কবরী, জব কাঠালী, আইটা, সবজি কাঁচকলা, বাংলা কলা ইত্যাদি
চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলা ও পার্বত্য রাঙ্গামাটি এবং পার্বত্য বান্দরবান জেলায় বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে চম্পা, বাংলা, জবকাঁঠালী, আইটা ও সবজি কাঁচকলা উৎপাদন হয়। বছরে বিক্রি হয় কোটি কোটি টাকার কলা। নাটোর, নওগাঁ, রাজশাহী, নরসিংদী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় জেলায় অন্যান্য জাতের কলার চাষ হয়।
সূর্যমুখী একটি নতুন জাতের কলা। এই কলা দুই পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির কিছু কিছু জায়গায় সাম্প্রতিক সময়ে স্বল্প সংখ্যক চাষ হচ্ছে। সূর্যমুখী কলা চারা রোপণের ৬ মাসের মধ্যে গাছ বড় হয় এবং মোচা আসে। প্রতিটি গাছ প্রায় ৮ ফুট লম্বা হয়।

মোচা আসার ৯০ দিনের মধ্যে কলা বড় হয়ে পাক ধরে। পাকলে লাল রঙের মধ্যে কিছুটা হলদে দেখায়। পাকা কলা অন্য জাতের কলার চেয়ে বেশী মিষ্টি এবং সুস্বাদু। একটি ছড়িতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি কলা থাকে। এই কলার গাছ পাহাড় টিলাভ‚মিতে রোপন করলে বেশী ফলন পাওয়া যায়।
এর বাইরেও বাড়ির আঙ্গিনাতেও এই কলার গাছ রোপন করে সুষ্ঠু পরিচর্যার মাধ্যমে ভাল ফল পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা গ্রামের পূর্ব পাশ্বে টিলাভ‚মিতে আবদুল কাদের নামের একজন চাষি পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী কলার চাষ করেছেন। পটিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড তুলাতলা এলাকায় প্রবাসী শফিউল আলম সূর্যমুখী কলার চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

শফিউলের স্ত্রী কোহিনুর আকতার জানান, পটিয়া উপজেলার পূর্বদিকে পাহাড়ি এলাকা হাইদগাঁও গ্রাম থেকে তার বোন সূর্যমূখী কলার চারা সংগ্রহ করে দেন। চারা বাড়ির পাশে খালী জায়গায় রোপন করা হয়। কোহিনুর জানান, ৬ মাসের মধ্যে গাছে মোচা আসে এবং মোচা আসার তিন মাসের মধ্যে কলা পাকে।
খরনা গ্রামের চাষি আবদুল কাদের জানান, তিনি টিলাভ‚মিতে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য ২০০ সূর্যমুখী কলার চারা রোপন করেছেন। চলতি মাসের শেষ দিকে কলার ফলন আসবে। তিনি আরও জানান, পটিয়া উপজেলার পূর্বাঞ্চলের পাহাড় ও টিলা ভ‚মি কলা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হলে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে।

পটিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কল্পনা রহমান ইনকিলাবকে জানান, পটিয়ার পূর্বাঞ্চলের পাহাড় টিলা, সমতলভ‚মি খুবই উর্বর। সূর্যমুখী কলার চাষ বাণিজ্যিকভাবে করা হলে চাষিরা যে লাভবান হবেন তা নিশ্চিত করে বলা যায়।

 



 

Show all comments
  • রফিকুল ইসলাম ২ এপ্রিল, ২০২১, ১:২১ এএম says : 0
    কলা দেখতেও তো সুন্দর দেখায়।
    Total Reply(0) Reply
  • হাদী উজ্জামান ২ এপ্রিল, ২০২১, ১:২১ এএম says : 0
    এটা কি সমতলে চাষ করা যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাজনীন জাহান ২ এপ্রিল, ২০২১, ১:২১ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ, ভালো লাগলো।ন
    Total Reply(0) Reply
  • Md said kazi ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ১:২২ পিএম says : 0
    ভাই কলার চারটি আমি কিভাবে সংগ্রহ করতে পারি? আপনার উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ