Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নন্দীগ্রামে বিজেপির বিরুদ্ধে জালভোটের অভিযোগ মমতার

আদালতে যাবার হুমকি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৬ এএম

পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় বাক্সবন্দি হয়ে গেছে মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাগ্য। একই সাথে এদিন ভোট হয়েছে ৪ জেলার আরো ২৯টি আসনে। তবে সবার নজর ছিল নন্দীগ্রামের দিকে। এখান থেকেই লড়ছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা তার সদ্য বিজেপিতে যোগ দেয়া সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের বয়ালে বিজেপি জালভোট এবং গোটা এলাকায় গণতন্ত্র নিয়ে চিন্তিত মমতা সোজা নিশানা করলেন নির্বাচন কমিশনকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম করে মমতার দাবি, অমিত শাহের কথা মতো কাজ করছে নির্বাচন কমিশন

গতকাল সকাল থেকেই তিনি তার অস্থায়ী আবাসে ছিলেন এবং সেখান থেকে বারবার অভিযোগ আসছিল তার এজেন্টদের বের করে দেবার এবং জালভোটের। তিনি যখন বয়ালে গিয়ে পৌঁছেন তখনই তার প্রতিদ্ব›দ্বী শুভেন্দু অধিকারী গণমাধ্যমকে জানান যে, এখন সেখানে কী করবেন মমতা। ৮০ ভাগ ভোট তার পদ্মফুল মার্কায় পড়ে গিয়েছে। অনেকটা সেরূপই অভিযোগ করেন মমতা। জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর নির্বাচন কমিশন মিলে জাল ভোটের উৎসব করছে। তিনি ভোটকেন্দ্রে থাকাবস্থায় বাইরে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা জড়ো হলে মারমুখী অবস্থার সৃষ্টি হয়। সেখানে কোন কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। পরে রাজ্যপালকে ফোন দিয়ে আদালতে যাবার হুমকি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলে ছুটে আসে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পুলিশ। প্রায় ২ ঘণ্টা পর তাকে বের করে আনা হয় ভোটকেন্দ্র থেকে।
শুধু বয়াল নয়, আরো অন্তত ৭০-৮০টি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় বিজেপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উস্কে দেওয়া জল্পনা নস্যাৎ করে তৃণমূল জানিয়ে দিল আর কোনও কেন্দ্র থেকে লড়বেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, অন্য কোনও কেন্দ্রে মমতার লড়ার প্রশ্ন নেই কারণ নন্দীগ্রামেই তিনি জিতবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী উলুবেড়িয়ায় মমতার অন্য কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়ে বলেন, ‘দিদি অন্য কেন্দ্র থেকে আপনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তা কি সত্যি? আপনি প্রথমে ওখানে (নন্দীগ্রাম) গেলেন, সেখানকার মানুষ আপনাকে জবাব দিয়েছে। আপনি যদি অন্য কেন্দ্র থেকে লড়তে চান, তা হলেও বাংলা প্রস্তুত’।

এর পরেই তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, মমতার অন্য কোনও কেন্দ্র থেকে লড়াই করার কোনও প্রশ্নই নেই । কারণ, নন্দীগ্রাম থেকেই তিনি জিতছেন।
চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তেখালির মাঠে সভা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন এ বার তিনি প্রার্থী হবেন নন্দীগ্রামে। তখন থেকেই নন্দীগ্রামকে কেন্দ্র করে ভোটের পারদ চড়তে শুরু করে। এর পরেই বিজেপি নেতৃত্ব কৌশলে নেটমাধ্যমে মমতার ওপর চাপ বাড়াতে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম কেন্দ্রেই মুখ্যমন্ত্রীকে প্রার্থী হওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাতে থাকেন। বিজেপি শিবিরের নেতারা নেটমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানান, ক্ষমতা থাকলে একটিমাত্র কেন্দ্রে লড়াই করুন মমতা। গেরুয়া শিবিরের সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হন মমতা। কিন্তু ৫ মার্চ কালীঘাটের বাসভবনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় টালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে অরূপ বিশ্বাসের নাম ঘোষণা করেও, ওই কেন্দ্রে তিনি প্রার্থী হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন।

জল্পনা শুরু হয় বাংলার রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে। হয়তো নন্দীগ্রাম আসনকে নিজের জন্য নিরাপদ মনে করছেন না বলেই বিকল্প কেন্দ্র হিসেবে টালিগঞ্জে প্রার্থী হতে চাইছেন মমতা। সূত্র : নিউজ১৮, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আনন্দবাজার পত্রিকা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মমতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ