মুজিববর্ষেই বর্ণিল উদ্বোধন হলো বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের। গতকাল সন্ধ্যায় জাতির জনকের নামে দেশের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া উৎসবের উদ্বোধন করেন ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি গণভবন থেকে সরাসরি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন।

গেমসের উদ্বোধনী ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গেইট কাল বেলা ৩টায় দর্শকদের জন্য খুলে দেয়া হয়। বিকাল সাড়ে ৫টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এরপর অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনীর মাধ্যমে পর্দায় তুলে ধরা হয় অতীতে বাংলাদেশের খেলাধুলার উল্লেখযোগ্য সাফল্য গাঁথা।
সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণের পর বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। এরপরই শুরু হয় অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনীতে এক ঝলকে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশের খেলাধুলার নানা ইতিহাস। অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনীর পর মার্চপাস্টের তালে তালে মাঠে প্রবেশ করেন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। মার্চপাস্ট শেষে প্রতিযোগিদের শপথবাক্য পাঠ করান দেশসেরা আরচ্যার রোমান সানা এবং বিচারকদের পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করান সাবেক তারকা জুডো খেলোয়াড় কামরুন্নাহার হিরু। প্রধানমন্ত্রীকে ক্রীড়াবিদদের অভিবাদনের পর স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এরপর শুভেচ্ছো বক্তব্য রাখেন বিওএ’র সভাপতি ও গেমসের সাংগঠিক কমিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের। প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি গেমস উদ্বোধনের পর দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও ২০১৬ গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে জোড়া স্বর্ণজয়ী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শীলা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গেমসের মশাল প্রজ্জ্বলন করেন। মশাল প্রজ্জ্বলনের পর মাঠে ত্যাগ করেন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে ছিল মাসকট প্যারেড. বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে নিয়ে প্রদর্শনী ও স্টেজ শো। রাত সাড়ে ৮টার পর শুরু হওয়া লেজার শো, পাইরো এবং আতশবাজি প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে শেষ হয় বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
বিওএর আয়োজনে এবারের বাংলাদেশ গেমসে দেশের ২৯ ভেন্যুতে ৩১টি ডিসিপ্লিনের খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহৎ এই ক্রীড়া আসরে ৫৩০০ ক্রীড়াবিদ এবং কোচ ও কর্মকর্তা ৩০০০ সহ মোট ৮৩০০ জন অংশ নিচ্ছেন।