Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গৌরনদী-পয়সারহাট মহাসড়ক

প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কার্পেটিং ওঠা বেহাল সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন
মা. বদরুজ্জামান খান সবুজ, গৌরনদী (বরিশাল) থেকে

গত ২ বছরের মধ্যেই বরিশালের গৌরনদী-ভায়া আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ওঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঠিকাদারি দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নি¤œমানের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে যানচালক ও যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর প্রচেষ্টায় গৌরনদী-ভায়া আগৈলঝাড়া-পয়সারহাট সড়কটি আঞ্চলিক মহাসড়কে উন্নীত করা হয়। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে প্রকল্পটি “রাজনৈতিক প্রকল্প” দেখিয়ে বরাদ্দ বাতিল করলে মহাসড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মহাজোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এসে ২০০৯ সালে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করে। এডিপির অর্থায়নে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি কালভার্টসহ গৌরনদী থেকে আগৈলঝাড়া সদর পর্যন্ত ৮.২০ কিলোমিটার মহাসড়ক নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হয় বরিশালের ওটিবিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। অপরদিকে, ২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি কালভার্ট ও একটি ব্রিজসহ আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর থেকে পয়সারহাট পর্যন্ত ৭.৬ কিলোমিটার মহাসড়কের অপর অংশের কার্যাদেশ দেয়া হয় ফরিদপুরের সেংগুইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড নামের আরেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৬ ফুট প্রস্থ সড়ক, চওড়ার উভয় পাশে ৩ ফুট করে ফুটপাত, সড়কে ৮টি কালভার্ট, ১টি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ওই দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দু’দফায় সময় বাড়িয়ে ২০১৪ সালে মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ করে। বাসচালক শামচুল হক সরদার, মোতালেব মৃধা, কেশব লাল দাস, লক্ষণ দাস, মাহিন্দ্রা চালক আব্দুস ছাত্তার অভিযোগ করেন, নি¤œমানের কংক্রিট ম্যাকাডম আর রোলার সঠিক ব্যবহার না করা, মহাসড়কে ঢাল না দেয়ায় দু’বছর ঘুরতেই ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং ওঠে ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি বর্ষায় মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানের পাশসহ পয়সারহাট ব্রিজের অ্যাপ্রোচ সড়কের একাংশ ধসে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ সড়কে খানাখন্দের কারণে রাতের অন্ধকারে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ সড়কে কাজের মান ভালো হওয়ার দাবি করে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভিাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ শাহেদ বলেন, সিডিউল অনুসারে ২০১৪ সালে গৌরনদী-পয়সারহাট সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি অবিরাম ভারি বর্ষণের ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে এবং পয়সারহাট অ্যাপ্রোচ সড়ক আংশিক ধসে পড়েছে। প্রতিদিন সওজের গাড়ি গিয়ে সড়কের সংস্কার কাজ করছে। ঈদুল আযহার আগেই গৌরনদী-পয়সারহাট সড়ক সংস্কার কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গৌরনদী-পয়সারহাট মহাসড়ক

৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ