পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি কিংবা ‘সন্দেহভাজন’ কোনো ব্যক্তির বিদেশ গমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আদেশের বিরুদ্ধে সংস্থাটির আপিল শুনানি আগামি ৫ এপ্রিল। গত ২৮ মার্চ এ তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জাস্টিস ওবায়দুল হাসান। ইতিপূর্বে এ বিষয়ে দেয়া হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়েছিলেন দুদক কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান। চেম্বার জাস্টিস আবেদন নামঞ্জুর করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুদকের করা মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত দেবেন ‘বিশেষ জজ আদালত’। এক রিট পিটিশনের শুনানি শেষে গত ১৬ মার্চ এমন অভিমত দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। দুদকের পক্ষে অভিমত স্থগিত চাওয়া হয়। চেম্বার জাস্টিস স্থগিতাদেশ দেননি। এরপরপরই দুদকের কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান বলেন,বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দিতে আদালতের অনুমতি আপাতত নিতেই হবে। রিটকাীরর পক্ষে ওইদিন শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী এবং মুন্সি মনিরুজ্জামান।
অ্যাডভোকেট মুন্সি মনিরুজ্জামান গতকাল মঙ্গলবার জানান, সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান ও তদন্ত পর্যায়ে কাউকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেননি চেম্বার কোর্ট। অর্থাৎ বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি নিতে হবে। দুদকের করা আবেদনটি ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। ফলে আপাতত হাইকোর্টের ওই রায় বহাল থাকছে। এ আদেশের ফলে রিটকারী আতাউর রহমানের বিদেশ যেতে কোনো বাধা নেই। এর আগে গত মার্চ ২২ আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের অবকাশকালীন চেম্বার কোর্ট আবেদনটি শুনানির জন্য ২৮ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে বিদেশ গমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমান বাদী হয়ে রিট করেন। জারিকৃত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ১৬ মার্চ বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ উপরোক্ত আদেশ দেন। আদেশের মতামতে বলেন, সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত। তবে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেয়ার সময় প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ঠিক করে দেবেন আদালত। হাইকোর্ট বলেছেন, বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে এ বিষয়ে দ্রæত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন। আশা করছি- এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
আদেশের পরে ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী জানান, আদালতের এই আদেশের ফলে এখন কোনো ব্যক্তির বিদেশ গমনের ওপর দুদক এককভাবে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না। এই নিষেধাজ্ঞা দিতে হলে তাদের বিশেষ জজ আদালতে আবেদন দিতে হবে।
প্রসঙ্গত: ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আতাউর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দেয় দুদক। এই নোটিশের পর ২২ অক্টোবর তিনি তার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন। দাখিলকৃত তথ্যের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধান চলাকালে দুদক গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমানের বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি রদয়। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আতাউর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।