Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর অভিযোগ নাকচ থাইল্যান্ডের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২১, ১২:০২ এএম

থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের কারেন শরণার্থীদের ফিরে যেতে বাধ্য করার যে অভিযোগ উঠেছে, থাই কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছেন। যদিও তাদের সেনাবাহিনী শরণার্থীদের সীমান্তেই আটকে দিয়েছে এবং বাইরের কোনো সংস্থাকে সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি নীতির আলোকেই কারেন শরণার্থীদের জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত শনিবার মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাবাহিনীর গুলিতে দেশটির গণতন্ত্রপন্থি ১১৪ বিক্ষোভকারী নিহত হয়। যার প্রতিশোধ নিতে ওই দিন একটি সেনাপোস্টে হামলা চালিয়ে এক কর্নেলসহ ১০ সেনাসদস্যকে হত্যা করার দাবি করে সশস্ত্র গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। যার জেরে শনিবার রাতে কারেন রাজ্যের মুতরাও জেলায় কেএনইউ নিয়ন্ত্রিত পাঁচটি অঞ্চলে সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালায় এবং কেএনইউর দুই যোদ্ধাসহ অন্তত পাঁচ জনকে হত্যা করে। বিমান হামলা শুরু হলে কারেন গ্রামের তিন হাজারের বেশি বাসিন্দা বাড়িঘর ছেড়ে প্রথমে জঙ্গলে এবং সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। থাই কর্তৃপক্ষ রোববার মিয়ানমারের তিন হাজারের বেশি শরণার্থী তাদের ভূখন্ডে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করে। সোমবার মিয়ানমারের দাতব্য সংস্থা ‘ফ্রি বার্মা রেঞ্জার্স’র প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড ইউবাঙ্ক দাবি করেন, ‘‘থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়া প্রায় ২০০৯ জন শরণার্থীকে স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সীমান্তে মিয়ানমারের দিকে ই থু হতা শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ এক কারেন গ্রামবাসীর ধারন করা ভিডিওতে দেখা যায়, থাই সেনাদের নজরদারিতে কারেন শরণার্থীরা নৌকায় উঠছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওই ভিডিও প্রচার করেছে। ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘দেখুন, থাইল্যান্ডের সেনারা গ্রামবাসীদের ফিরে যেতে বলছেন। এখানে দেখুন, বয়স্ক মানুষদেরও ফিরে যতে হবে বলছে। দেখুন, এখানে অনেক থাই সেনা।” থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বাইরের কাউকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘‘সব সংস্থারই জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের নীতি অনুসরণ করা উচিত। ওই নীতি অনুযায়ী যারা পালিয়ে এসেছেন তাদের আটকে দেওয়া এবং সীমান্তেই তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ