মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হংকংয়ের জন্য নির্বাচনী সংস্কার বিল অনুমোদন করল চীন। এর ফলে হংকংয়ের নির্বাচন ব্যবস্থা ও আইনসভায় ব্যাপক বদল হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানে গণতন্ত্রপন্থিদের আর কোনো গুরুত্ব থাকবে না।
চীনের পার্লামেন্টের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা এনপিসি-র স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সর্বসম্মতভাবে পাশ হয়েছে এই বিল। ১৬৭-০ ভোটে তা গৃহীত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে হংকং পেয়েছিল চীন। তারপর এত ব্যাপক নির্বাচনী সংস্কার এই প্রথম করা হলো। এই সংস্কারের ফলে হংকংয়ের আইনসভার সদস্যসংখ্যা ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচিত সদস্যের সংখ্যা ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ করা হয়েছে। অর্থাৎ, মনোনীত সদস্যের সংখ্যা নির্বাচিত সদস্যের থেকে অনেক বেশি থাকবে। ফলে হংকংয়ের আইনসভায় চীনের বিরোধী কোনো বিষয় অনুমোদিত হবে না।
এছাড়া ইলেকশন কমিটির সদস্য ৩০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০০ করা হয়েছে। এই ইলেকশন কমিটিই হংকংয়ের চিফ এক্সিকিউটিভ এবং লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যদের মনোনীত করে। কেউ ভোটে দাঁড়াতে চাইলে, তাকে আগে নিজের রাজনৈতিক মতের কথা জানাতে হবে।
এই বিলের বিস্তারিত বিবরণ এখনো জানা যায়নি। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার, চীন হংকংয়ের উপর তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। হংকংয়ে যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু ছিল, এই নির্বাচনী সংস্কারের ফলে তা কার্যত অর্থহীন হয়ে গেল। আইনসভার অধিকাংশ আসনেই সদস্যদের চীন মনোনীত করবে। ফলে বিরোধীরা নির্বাচিত হয়ে এলেও কিছু করতে পারবেন না। এর ফলে হংকংয়ের স্বশাসনের উপরও আঘাত এল। খাতায় কলমে স্বশাসন থাকলেও এবার থেকে শাসন পরিচালনা করবেন চীনের নিযুক্ত প্রতিনিধিরাই। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।