Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ৭৬ শতাংশ কার্যকর

নতুন সমীক্ষায় প্রকাশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ মার্চ, ২০২১, ১২:০৭ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত সাম্প্রতিক পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা লক্ষণজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধে ৭৬ শতাংশ সফল হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, গত মাসের পরীক্ষায় যে ফল তারা পেয়েছিল, তার চেয়ে এবারের ফলাফলে কার্যকারিতার হার খানিকটা কমেছে।

সপ্তাহখানেক আগে এক প্রতিবেদনে এর চেয়ে কিছুটা বেশি কার্যকর দেখানো হয়েছিল এ টিকা। যদিও পুরনো তথ্য ব্যবহারের দায়ে ওই প্রতিবেদনটি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল। সোমবার এক মধ্যবর্তী বিশ্লেষণে পুরনো তথ্য ব্যবহার করায় ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে প্রকাশ্যে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তখন এ টিকাটি ৭৯ শতাংশ কার্যকর দেখানো হয়েছিল।

নতুন ফলাফল প্রকাশের পর সমালোচনার মুখে পড়েছে টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের কর্মকর্তারা সর্বশেষ পরীক্ষার ফলাফল ব্যবহার না করায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেছেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সবশেষ পরিচালিত জরিপে যুক্তরাষ্ট্র, চিলি ও পেরুর ৩২ হাজার ৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর টিকা প্রয়োগ করা হয়, যাদের মধ্যে ১৯০ জন পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এর আগে একই পরীক্ষায় ১৭ ফেব্রæয়ারি প্রকাশিত অন্তবর্তী উপাত্তে জানানো হয়, আক্রান্তের সংখ্যা ১৪১ জন।

অ্যাস্ট্রাজেনেকায় বায়ো ফার্মাসিউটিক্যালস গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেনে পাঙ্গালোস বলেন, এর আগে প্রকাশিত মধ্যবর্তী বিশ্লেষণের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক বিশ্লেষণ মিলে গেছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে আমাদের কোভিড-১৯ টিকা সর্বোচ্চ কার্যকর বলে নিশ্চিত করেছে। আসছে সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চাইবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। স্বাধীন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যবেক্ষণ কমিটিতে সাম্প্রতিক পাওয়া তথ্য জমা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ওষুধ কোম্পানিটি আবার জানিয়েছে, রোগের তীব্র ও আশঙ্কাজনক ধরনের বিরুদ্ধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ১০০ শতাংশ কার্যকর। আর ৬৫ বছর এবং তার চেয়েও বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই টিকা ৮৫ শতাংশ সফল। শিগগিরই তারা এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার কার্যকারিতার হার ফাইজার/বায়োএনটেক এবং মডার্না উদ্ভাবিত টিকার কার্যকারিতার হারের চেয়ে কম। মার্কিন ওই দুটি টিকার কার্যকারিতার হার ৯৫ শতাংশ। তবে খরচ কম হওয়ায় এবং সংরক্ষণ ও পরিবহন সহজ হওয়ায় বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ৭০টিরও বেশি দেশ শর্তসাপেক্ষে বা জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে।

ইউনিভার্সিটি অব কুইনসল্যান্ডের অধ্যাপক পল গ্রিফিন বলেন, ‘আমার মত আরও অনেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তৃতীয় ধাপের এই বিস্তৃত পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলের অপেক্ষায় ছিলেন। দেখা যাচ্ছে এটা খুবই কার্যকর একটি টিকা এবং সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আশা করছি, এই ফলাফল জনগণকে এই টিকা ব্যবহারে আস্থা যোগাবে।’ সূত্র : রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভ্যাকসিন

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ