পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দরপতনের সঙ্গে এবার দেশের শেয়ারবাজারে যুক্ত হয়েছে লেনদেন খরা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতনের মধ্য দিয়ে। এতে দুই মিনিটের লেনদেনে ডিএসই এর প্রধান সূচক ২৫ পয়েন্ট পড়ে যায়। তবে পরের ১০ মিনিটে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে ঋণাত্মক অবস্থা থেকে বেরিয়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ধনাত্মক হয়। কিন্তু সূচকের এই ইতিবাচক প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানো বেশকিছু প্রতিষ্ঠান হঠাৎই পতনের তালিকায় স্থান করে নেয়। তারপরও দিনের লেনদেন শেষে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেযার ও ইউনিটের দাম কমেছে, বেড়েছে তার থেকে বেশি। কিন্তু ঋণাত্মক অবস্থা থেকে বের হতে পারিনি সূচক। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির। আর ১৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়লেও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দুই পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৩২৭ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ৩ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৮০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনেদেন কমেছে ৯২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। শুধু আগের দিনের তুলনায় নয় এদিন ডিএসইতে এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ডিএসইতে ৪৬৭ কোটি ৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এরপর গত এক মাসের মধ্যে গতকাল বাজারটিতে ৫০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হলো। লেনদেন খরার বাজারে টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার।
কোম্পানিটির ৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মা ৪০ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রবি। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৩টির এবং ৬৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।