গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
এদেশে ইসলাম টিকে থাকলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে। নরেন্দ্র মোদির আগমন এদেশের মানুষ চায় না। কসাই মোদির আগমনই হবে এই সরকারের পতনের কারণ। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী কারো ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান নয়। মোদিকে এনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে কলঙ্কিত করা হবে। মোদির আগমন হলে দেশপ্রেমিক জনতা সর্বোচ্চ ঘৃণা প্রদর্শন করবে। সীমান্তে কাটা তারের বেড়ায় ফেলানীর লাশের রক্তে যার হাত রঞ্জিত সেই মোদির আগমন জনগণ মেনে নিবে না।
ভারতের নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে সমমনা ইসলামী দল সমূহ আয়োজিত বিক্ষোভে সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড.আহমদ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন ও মাওলানা জয়নাল আবেদীনের পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. ঈশা সাহেদী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশের) আমীর ও হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত ইসলামী দলের মহাসচিব মাওলানা খলীলুর রহমান মাদানী, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুল ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী, মাওলানা জাবের কাসেমী ও মাওলানা কাজী ইলিয়াস আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, খেলাফত মজলিসের নেতা অধ্যাপক আব্দুল জলিল,ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের নেতা আবু বকর সিদ্দিক ও মাওলানা ফয়সাল।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি মুসলিম বিদ্বেষী, মানবতা বিরোধী, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী, সে এবং তার দল আরআরএস বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করছে। এ নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমন্ত্রণ জানানোর তীব্র প্রতিবাদ করছি। ফ্যাসিবাদী মোদিকে বাংলাদেশের মানুষ স্বগত জানাবে না। জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও যদি মোদি বাংলাদেশে আসে তবে যতক্ষণ বা যে কয়দিন থাকবে ততক্ষণ জনগণ যে যার অবস্থান থেকে তার প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করবে। তিনি মোদির আগমনের প্রতিবাদে আজ সকালে মতিঝিলে যুব অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং আটকৃত শিশু বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানান।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, মেহমানকে স্বাগত জানানো ইসলামের নীতি, কিন্তু রাষ্ট্র ও ইসলামের জন্য ক্ষতিকর কাউকে স্বাগত জানানো আত্মঘাতী ছাড়া অন্য কিছু নয়।আমরা ঘৃণা প্রকাশ করবো, জনগন ঘৃণা প্রকাশ অব্যাহত রাখবে, মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর মতো নতজানু সিদ্ধান্তের জন্য সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, গুজরাটসহ ভারতে মুসলিম হত্যার খলনায়ক নরেন্দ মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে সমমনা ইসলামী দল সমূহসহ দেশবাসী প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছে।
সরকার জনগণের মনোভাবের প্রতি সম্মান না জানিয়ে মোদিকে আমন্ত্রণ করলে সেটা দেশের জন্য সুখকর হবেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।