Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুয়েজ খালে নজিরবিহীন ট্রাফিক জ্যাম

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২১, ৩:৩১ পিএম

‘এভার গিভেন’ নামে পানামার পতাকাবাহী বৃহৎ এক কন্টেইনার জাহাজ আটকে মিসরের ঐতিহাসিক সুয়েজ খালে নজিরবিহীন ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। সরু এই খালে একদিক থেকে অন্যদিকে ঘোরানোর সময় অগভীর পানিতে গত মঙ্গলবার আটকে যায় জাহাজটি। আর এর পরেই আটকে যাওয়া জাহাজের দুইপাশে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যামের।
সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া জাহাজটি ৫৯ মিটার (১৯৪ ফুট) চওড়া। এই জাহাজটি টেনে বের করে নিতে কয়েকটি উদ্ধারকারী নৌকা (টাগ বোট) মোতায়েন করা হয়েছে। জাহাজ উদ্ধারে কাজ করছে ড্রেজারও। জাহাজটির একপাশ পানিতে ভেসে থাকলেও অন্যপাশটি মাটিতে আটকে গেছে।
গতকাল বুধবার বিকেলে ড্রেজার দিয়ে মাটি সরিয়ে আটকে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধারের কাজ শুরু হলেও পরে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কাজ মুলতবি করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে আরও জোর গতিতে উদ্ধার কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। আর তাই যানবাহন পরিবহনের কাজে নিয়োজিত জাহাজটি এখনও সেখানেই আটকে রয়েছে। ফলে জাহাজের দুই দিকে সুয়েজ খালের ভেতরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যামের।
সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজে নজরদারি ও ট্রাকিংয়ে নিযুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ১২০ মাইল দীর্ঘ এই খাল পার হতে শতাধিক জাহাজ এখন অপেক্ষা করছে। এমনকি আটকে পড়া জাহাজটি সরিয়ে খুব দ্রুত সুয়েজ খাল চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলেও সৃষ্ট জাহাজ-জট কাটাতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। আর এতে ব্যাহত হতে পারে বিশ্ব বাণিজ্যের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সমুদ্রে চলাচলকারী জাহাজে নজরদারি করা ট্যাংকার ট্রাকারস’র বরাত দিয়ে আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, জাহাজ আটকে পড়ায় সুয়েজ খালে অন্যান্য জাহাজের লম্বা সারি সৃষ্টি হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ‘সৌদি আরব, রাশিয়া, ওমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের তেল বহনকারী ট্যাংকারগুলো পারাপারের জন্য আটকে পড়া জাহাজের উভয়পাশে অপেক্ষা করছে।’
সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া এভার গিভেন জাহাজটি ২০১৮ সালে নির্মাণ করা হয়। পানামায় নিবন্ধনভুক্ত এবং দেশটির পতাকাবাহী এই জাহাজটি চীন থেকে নেদারল্যান্ডসের রটারডাম বন্দরে যাচ্ছিল।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, সমুদ্রে দৈনিক হিসেবে চলাচলকারী জাহাজের ৩০ শতাংশই যাতায়াত করে থাকে সুয়েজ খাল দিয়ে। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বছরজুড়ে প্রায় ১৯ হাজার জাহাজ চলাচল করেছে এই খাল দিয়ে। দৈনিক হিসেবে যা প্রায় ৫২টি। সূত্র : সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ