বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট প্রতিদিন বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। গেলো সপ্তাহখানেক আগেও সিলেট বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা অনেকাংশে কম থাকলেও এখন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭ জন। আর এ সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ১৫ জন। এনিয়ে বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯১৭ জন। বিভাগে প্রানহানীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৩ জন। সদ্য বিদায়ী সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিতে একটি লম্বা ছুটি ছিলো। তখন প্রচুর পরিমাণ পর্যটক সিলেটে এসেছেন। কিন্তু কেউ কোন স্বাস্থ্যবিধি যেমন তোয়াক্কা করেনি পরেনি মাস্কও। এখন যদি মানুষ মাস্ক ব্যবহার করে বা স্বাস্থ্যবিধি মানে তাহলে আগামী ১৫ দিন পর আবার কমে আসবে বলে আশাবাদী তিনি। বুধবার (২৪ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন শনাক্ত ৬৭ জনের মধ্যে ৩৩ জনই সিলেটের বাসিন্দা। এছাড়া হবিগঞ্জ ১ ও মৌলভীবাজারের আরও ১৮ জন। নতুন করে শনাক্ত ৬৭ জনকে নিয়ে বিভাগে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬ হাজার ৯১৭ জনে। এরমধ্যে সিলেট ১০ হাজার ৩৩৭, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৫৭১ , হবিগঞ্জ ২ হাজার ২৫ ও মৌলভীবাজারে ১ হাজার ৯৮৪ জন। নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠা ১৫ জন নিয়ে বিভাগে করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯৪৩ জন। এর মধ্যে সিলেট ৯ হাজার ৭১৮ , সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৫২৯, হবিগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৬৮৪ ও মৌলভীবাজারে ১ হাজার ৯১২ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি মৌলভীবাজারের বাসিন্দা। বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মোট ২৮৩ জনের মধ্যে সিলেটের ২১৮, সুনামগঞ্জে ২৬, হবিগঞ্জে ১৬ এবং মৌলভীবাজারের ২৩ জন।
শীতের করোনার প্রকোপ বেশি হওয়ার কথা থাকলেও গরমের শুরুতে করোনা বেড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে এক প্রশ্নে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ভাইরাস সাধারণত কুকুরের মতো। এরা এক ভাইরাস অন্য ভাইরাস্কে তার এলাকায় দেয় না প্রবেশ করতে। শীতে হিমোফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা, রেস্পেটোরি সিন্সিটিয়াল ভাইরাসহ নানা ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত থাকে। এসময় মানুষের সাধারণ জ্বর, শর্দি হয়। তাই এসব ভাইরাসের কারণে আক্রমন করতে পারেনি করোনা। কিন্তু শীত যেতেই নিয়মিত ভাইরাস যখন সরেছে তখন আক্রমণ করছে করোনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।