Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগ : খুলনার কাছে ফলোঅন এর শংকায় সিলেট

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০২১, ৫:৫৭ পিএম

বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগের খুলনা ভেন্যুতে ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দাপট ধরে রেখেছে স্বাগতিক খুলনা বিভাগ। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে খুলনার পেসার মাসুম খান টুটুল আর দুই স্পিনার মিনহাজ ও সোহেলের বোলিং তোপে পড়ে সিলেট বিভাগ। শেষ পর্যন্ত দিনের খেলা শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট। খুলনা প্রথম ইনিংসে করে ৩৭৫ রান। খুলনার প্রথম ইনিংস থেকে ২৪৯ রানে পিছিয়ে ফলো অনের শঙ্কায় সিলেট বিভাগ।
লাঞ্চ বিরতির আগে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে সিলেট বিভাগ। তবে শুরুতেই সিলেটকে ধাক্কা দেন মাসুম খান টুটুল। দলের খাতায় ২ রান হতেই সিলেটের ওপেনার তৌফিক খানকে উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিনত করেন। আরেক ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ব্যাটিংয়ে এক প্রান্ত আগলে রাখলেও অন্য প্রান্তে টুটুল আর মিনহাজ নিয়মিত বিরতিতে খুলনাকে সাফল্য এনে দেন। ইমতিয়াজ হোসেন ৩৭ রান করে ফিরে গেলে আরও বড় বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট বিভাগ। এক পর্যায়ে মাত্র ৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে তারা। একশ রানের আগেই অল আউট হওয়ার শঙ্কাও জাগে।
সেখান থেকে দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচিয়ে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত আছেন এনামুল হক জুনিয়র। ৮০ বল খেলে ২৭ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। যা দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। তাতে অবশ্য সিলেটের ফলো অনের শঙ্কা শেষ হয়ে যায়নি। দিনের খেলা শেষে তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করতে সমর্থ হয়। খুলনার প্রথম ইনিংস থেকে এখনও ২৪৯ রানে আর ফলো অন থেকে এখনও ১০০ রান পিছিয়ে তারা। সিলেটের হয়ে অন্যদের মধ্যে জাকির আলী অনিক ১৮, অমিত হাসান ১৪ রান করেন।
খুলনার হয়ে দিনের সেরা বোলার মাসুম খান টুটুল। ১৪ ওভার বোলিং করে ৩২ রান খরচায় একাই নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন দুই স্পিনার মিনহাজ খান ও মঈনুল ইসলাম সোহেল। এর মধ্যে মিনহাজ খাানের অভিষেক ম্যাচ এটি।
এর আগে খুলনার প্রথম ইনিংস থামে ৩৭৫ রানে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে খুলনা বিভাগ অল আউট হয়। সোমবার দিনের শেষে খুলনা ৭ উইকেটে সংগ্রহ করেছিলো ৩০৮ রান। সেখান থেকে বাকি ৩ উইকেটে আজ আরও ৬৭ রান যোগ করে খুলনা। এদিন খুলনার হয়ে ব্যাট হাতে লড়েছেন নাহিদুল ইসলাম। তবে ইমরুল বা তুষার ইমরানের মতো তারও আক্ষেপ হতে পারে। ২ রানের জন্য অর্ধশত রান বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রথম দিন এক রানের জন্য তুষার ইমরান আর ১০ রানের জন্য ইমরুল কায়েস সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছিলেন।
অর্ধশত রান থেকে মাত্র ২ রান দূরে থেকে এবাদত হোসেনের বলে আবু জায়েদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন নাহিদুল। ৭৮ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৮ রান করেন তিনি। এরপর আব্দুল হালিমকে ফিরিয়ে খুলনার ইনিংসের সমাপ্তি টানেন সিলেটের অধিনায়ক অলক কাপালি। হালিমের ব্যাটে যোগ হয় ২৩ রান। সিলেটের হয়ে দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেন নেন ৩টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, অলক কাপালি ও এনামুল হক জুনিয়র।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ