বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘ইসকন’ নিয়ে বিতর্কে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। হরেক রহস্যে ঘেরা এই সংগঠনের কর্মকান্ড নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা। তবে চট্টগ্রামে তাদের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকা-ে সমালোচনায় নতুন মাত্রা যোগ হয়। সোমবারও নগরী এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের আলোচনা আড্ডায় এসব বিষয় উঠে আসছে।
বিশেষ করে চট্টগ্রামের পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী এবং সনাতনী হিন্দু প্রতিষ্ঠান প্রবর্তক সংঘের কর্মকর্তাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা, এই ঘটনায় ইসকনের বিরুদ্ধে মামলা এবং সর্বশেষ প্রবর্তক সংঘের নেতাদের সাংবাদিক সম্মেলন এখন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে। তাদের হামলায় প্রবর্তকের কর্মকর্তা, আবাসিক শিক্ষকসহ আহত হয়েছেন ১২ জন।
তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার না করায় আহতদের পরিবার স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ বিরাজ করছে। হামলায় আহতদের অনেকে এখনও স্বাভাবিক হতে পারেননি।
নিজ ধর্মের মানুষের উপর এমন আক্রমণে হতবাক তাদের অনেকে। তারা অভিযোগ করেন প্রবর্তকের জমিতে কাজ করতে গিয়ে ইসকনের হামলার শিকার হতে হয়েছে তাদের। হামলার পর তারা সেখান থেকে সিসিটিভি ফুটেজসহ অনেক আলামতও সরিয়ে নিয়েছে।
ইসকনের এসব কর্মকা- নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে পাঠকমহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ‘উগ্রবাদী ইসকন কী মতলবে’ সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টে অনেক পাঠক তাদের মন্তব্য তুলে ধরেন। তাদের বেশির ভাগই এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
একজন পাঠক লিখেছেন-‘ সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি স্বরুপ এই ইসকন। কারণ ইসকনের জন্য দাঙ্গা হাঙ্গামা সারা পৃথিবীতে। তাই নিজেদের ধর্মের সম্মান বোধ বজায় রাখার স্বার্থে ইসকনের বিরুদ্ধে জেগে উঠা প্রয়োজন। ’
তাসফিয়া আসিফা লিখেছেন-‘ যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রজায় রাখা জরুরি মনে করি, বড় কোন সমস্যা হওয়ার আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ করা দরকার। ’
জাহিদ খান লিখেছেন-‘ইসকনসহ সকল উগ্রবাদী ও জঙ্গিবাদী সংগঠন নিষিদ্ধ করা সময়ের অপরিহার্য দাবি। ’
আরেক জন লিখেছেন-‘বাংলাদেশের জন্য বিষফোড়া যত দ্রুত থামিয়ে দেওয়া যাবে ততই মঙ্গল’।
প্রবর্তক সংঘের সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী জানিয়েছেন প্রবর্তক সংঘের জমি মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য ইসকনকে দেয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী তারা ওই জমিতে মন্দির পরিচালনা করবে। এর বাইরে তারা কোন জমির মালিকানা দাবি করতে পারবে না। কিন্তু তারা সে চুক্তি মানছে না। নির্ধারিত সীমার বাইরে গিয়ে স্থাপনা তৈরি করছে।
সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ প্রবর্তকের জমিতে সংস্কার কাজ করতে গেলে ইসকন কর্মীরা সেখানে সশস্ত্র হামলা চালায়। তিনি ইসকনের সাথে চুক্তি বাতিল এবং সেই সাথে তাদের এই অপকর্মের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মঠ-মন্দিরে গণসংযোগ করবেন বলেও জানান। তিনি ইসকনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।