বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ও শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট হবিবুর রহমান ও তার ভাই মনীর হোসেন মুন্সী হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ, ৪ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার আদেশ দিয়েছেন আদালত। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে দন্ডপ্রাপ্ত আসামি, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, আসামি পক্ষের আইনজীবী ও বাদীপক্ষের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাহিন কোতোয়াল, শহিদ কোতোয়াল, শফিক কোতোয়াল, শহিদ তালুকদার, সোলেমান সরদার ও মজিবর রহমান তালুকদার (ল্যাংড়া)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি সারোয়ার হোসেন বাবুল তালুকদার, ডাবলু তালুকদার, বাবুল খান ও টোকাই রশিদ। বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মন্টু তালুকদার, আসলাম সরদার, মজনু ও জাকির হোসেন। মামলার এজাহারে ৫৩ জন আসামি করা হয়। এর মধ্যে ইতোমধ্যে দুইজন মৃত্যুবরণ করেছে। অপর ৩৮ জন আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৫ অক্টোবর বিকালে নিজ বাড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেন মুন্সী নিহত হয়। সেই ঘটনায় ৫৩ জনকে আসামি করে ৬ অক্টোবর পালং মডেল থানায় মামলা করেন নিহত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী জিন্নাত রহমান। এই মামলায় ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের নারাজী আবেদন থাকায় আদালত পুনরায় তদন্তের আদেশ প্রদান করে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর সম্পূরক অভিযোপত্র আদালতে দাখিল করা করা হয়। মামলার বিচার কার্য শুরু হলে বাদী পক্ষের ২৯ জন স্বাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করে। আসামি পক্ষে সাফাই স্বাক্ষী প্রদান করেছেন ২৫ জন। আদালতের চাহিদা মতে ডি ডাব্লিউ মূলে আরও দুইজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘ ২০ বছর পরে গতকাল মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।