বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ভোলার চরফ্যাশনে ঘেরে অন্য মাছের সাথে পাওয়া গেছে ৮টি ইলিশ। গতকাল দুপুরের দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের একটি পুকুরে মাছগুলো পাওয়া যায়।
একটি পূর্ণ বয়স্ক ইলিশ প্রতিদিন স্রোতের বিপরীতে ৭১ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটে চলতে সক্ষম। এতোদিন এ মাছ পুকুর, দীঘি বা ঘেরে চাষে সফলতা আসেনি। ফারাক্কা ব্যারেজ চালুর পরে গঙ্গার উজানে ইলিশের বিচরণ বন্ধ হয়ে গেলে ভারতের মৎস্য বিজ্ঞানীরা বহু গবেষণা করেও সফলতা পায়নি। সাগর উপক‚ল থেকে ইলিশের ডিম ও লার্ভা সংগ্রহ করে ফারাক্কা ব্যারেজের উজানে নিয়ে ছেড়ে দিলেও তা থেকে তেমন বাচ্চা প্রস্ফুটিত হয়নি। কিছু ডিম প্রস্ফুটিত হলেও তা থেকে জন্ম নেয়া বাচ্চা জাটকা সাইজেও বড় হয়নি।
কিন্তু ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর কুকরি-মুকরিতে আবুল হাসেম মহাজনের মাছের ঘেরে জাল ফেললে অন্য মাছের সাথে ৮টি বড় সাইজের ইলিশ উঠে আসে। প্রতিটি মাছের ওজন ১ কেজি থেকে কিছুটা বেশি। এ খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের বহু মানুষ দেখতে ছুটে আসেন। স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন কর্মীরাও বিষয়টি দেখে হতবাক।
ঘেরটির মালিক আবুল হাসেম মহাজনসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, গত বছর ঘূর্ণিঝড় আম্পানে তার ঘেরটি সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়। তখন ঘেরের অনেক মাছ ভেসে যায়। আবার নদীর অনেক মাছও ঘেরে প্রবেশ করে। ওই সময় হয়তো জোয়ারের সাথে মেঘনা থেকে কোন ইলিশ ঘেরে প্রবেশ করতে পারে।
এ ব্যাপারে মৎস্য অধিদফতরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক জানান, জীব বৈচিত্র্য অনুযায়ী কোন বদ্ধ জলাশয় ইলিশের নিরাপদ আবাসস্থল নয়। তারপরেও কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘেরে ইলিশ প্রবেশ করে তা অন্য মাছের সাথে বাস করে থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে গবেষণার ওপরও জোর দেন তিনি। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট পুকুরে বা অন্য বদ্ধ জলাশয়ে ইলিশ উৎপাদনে গবেষণা করে এখনো তেমন কোন সফলতা পায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।