সম্প্রতি এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিকস ক্যাপ্টেন বাইক-এর একটি বিজ্ঞাপনচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ফেসবুকে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ বিজ্ঞাপনটি দেখেছে এবং প্রায় লক্ষাধিকবার শেয়ার হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরেই শিশুরা এখন স্মার্টফোনে কার্টুন বা গেমস খেলায় আসক্ত। শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তির সেই বাস্তব চিত্রটিকেই ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞাপনটিতে। সন্তানের এই আসক্তির দায় আসলে কতটা বাবা-মায়ের বা তার পারিপার্শ্বিকতার সেই বিষয়টিই আলোচনায় এসেছে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের মাধ্যমে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আরো সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়েছে। কয়েক বছর আগেও যেখানে ফোন ছিল কেবলমাত্র কথা বলা বা ম্যাসেজ করার মাধ্যম, সেখানে এখন ব্যবসায়িক এবং বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরানোই যেন দায় হয়ে উঠেছে সবার। ছোট ছোট শিশুরাও দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়ছে স্মার্টফোনের অসংখ্য গেমস ও কার্টুনের দুনিয়ায়। শিশুরা ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিচ্ছে স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। স্মার্টফোন হাতে দিলেই শিশুরা এখন আর জ্বালাতন করছে না। তাই বাবা মা-ও যেন সন্তানের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচছে। কিন্তু এর ভয়াবহ দিকগুলো নিয়ে বাবা-মা কি সচেতন? বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারে ক্ষতিকর রেডিয়েশনের কারণে চিন্তাশক্তি হ্রাস, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, এমনকি মস্তিষ্কের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরণের জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘ লকডাউনের সময় দেশের নব্বই ভাগ পরিবারের শিশুদের হাতে খেলনার পরিবর্তে স্মার্টফোন উঠেছে। শিশুরা প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে, যা ওদের ভবিষ্যতের জন্য ভয়ঙ্কর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ কারণে মানসিক বিকাশ, সঠিক শারীরিক গঠন এবং রিফ্রেশমেন্টের জন্য শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলায় উৎসাহিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত শিশুদের সাথে আরো বেশি সময় কাটানো এবং ওদের শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ে এমন খেলনা কিনে দেওয়া। এই ভাবনা থেকেই ‘এসিআই প্রিমিও প্লাস্টিকস টয়েজ আইটেম ক্যাপ্টেন বাইক নিয়ে গণসচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেছে। প্রতিটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমাজের সমসাময়িক সমস্যা দূর করার জন্য এমন শিক্ষামূলক ভিডিও কন্টেন্ট নির্মাণ করলে সবাই আরো সচেতন হবে এবং ভালো কিছু শিখতে পারবে।