Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাট ও চিনিশিল্প ধ্বংসের জন্য শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অর্থনীতিই দায়ী : সেমিনারে বক্তারা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০২১, ৬:০৭ পিএম

পাট ও চিনিশিল্প ধ্বংসের জন্য শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অর্থনীতি দায়ী। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা ও লক্ষ্যকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র হিসেবে ২৫টি পাটকল বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৬টি চিনিকল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। অবশিষ্ট চিনিকলগুলোও বন্ধের পায়তারা করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটশিল্প ধ্বংসের জন্য শাসকগোষ্ঠীর লুটপাটের রাজনৈতিক অর্থনীতিই দায়ী। আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন, লুটেরা শাসকগোষ্ঠীর ভ্রান্তনীতি, ব্যবস্থাপনা দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি, অকেজো যন্ত্রপাতি আধুনিকায়ন না করে এই শিল্পকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। অথচ পাট ও পাটশিল্পের যে অবদান রয়েছে, তা প্রকৃত বিচারে পাট ও পাটশিল্প কোনভাবেই লোকসানী খাত হতে পারে না।

পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে আজ শনিবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রাষ্ট্রায়ত্ত ‘পাটকল-চিনিকল বিরাষ্ট্রীয়করণ নয়, চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরো বলেন, মাত্র ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের আধুনিকায়ন করা সম্ভব। কিন্তু সরকার বিশেষজ্ঞ মতামত উপেক্ষা করে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে পাটকল বন্ধ ঘোষণা করলো। ২৫টি পাটকলের যন্ত্রপাতি,জায়গা-জমি-রাস্তা-গোডাউন-নদীরঘাটের বাজার মূল্য ২৫ হাজার কোটি টাকা। লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে জনগণের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে পিপিপি নামে রাষ্ট্রের এই সম্পদ তুলে দেয়া হচ্ছে কতিপয় লুটেরাদের হাতে।

পরিষদের আহবায়ক এ্যড. কুদরত-ই-খুদা সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব এস এ রশীদ সঞ্চালনায় সেমিনারে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মনোজ দাশের রচিত ‘পাটকল রক্ষা আন্দোলনের যুক্তি-নীতি ও কৌশল’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চেীধুরী সোহেল এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন রচিত ‘চিনিশিল্প রক্ষায় করণীয়’ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাসদ খুলনা জেলা সমন্বয়ক জনার্দন দত্ত নান্টু।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আনছার আলী দুলাল, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন খুলনার বিশিষ্ট নাগরিক নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও সংবিধান প্রণেতা এ্যাড. এনায়েত আলী, বিএমএ সহ-সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম, অধ্যক্ষ জাফর ইমাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আ ফ ম মহসীন, সাংবাদিক ও গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দী প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ