মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাখিটির নাম পোটো। অনেকে একে গোস্ট বার্ড বা ভূতুড়ে পাখি বলেও ডাকেন। অদ্ভুতদর্শন এবং ভয়ঙ্কর ডাকের জন্যই এমন নাম। এরা নিশাচর। ১৫ বছর পর সম্প্রতি কলম্বিয়ার চিবোলো শহরে এই পাখির দেখা পাওয়া গেছে। সেই পাখিটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পোটো পাখিন ঠোঁট সাধারণ পাখির মতো সূচালো নয়। সবুজ পাতায় মোড়া গাছের ডালে বসার চাইতে গাছের শুকনো, ভাঙা ডালে বসে থাকতেই পছন্দ করে এরা। এই পাখিকে হঠাৎ করে দেখলে যে কেউ চমকে উঠবেন দিনের আলোতেও। আর অন্ধকারে এর ডাক গায়ে শিহরণ জাগিয়ে তুলবে।
মূলত মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকায় এই সমস্ত পাখির দেখা মেলে। আগে অবশ্য ইউরোপেও দেখা মিলত এদের।
রাত হলেই কীট-পতঙ্গ শিকার করতে শুরু করে এরা। আর দিনের বেলায় কোনও গাছের ভাঙা ডালের একেবারে মাথায় বসে সময় কাটায়। শিকারিদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার এটাই একমাত্র উপায় পোটো পাখিদের। পোটো পাখিদের গায়ের রং এবং দেহের আকার এমনই যে গাছের ভাঙা ডালের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেতে পারে তারা। দীর্ঘক্ষণ কোনওরকম নড়াচড়া না করেই থাকতে পারে এরা। ফলে দূর থেকে দেখে তাদের গাছের ডালই মনে হয়।
পোটো পাখিদের আরও একটি বিশেষত্ব হল এরা বাসা বাঁধতে পারে না। গাছের ডালের কোনও কোঠরেই ডিম পাড়ে। সেই ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা বার করার দায়িত্ব মূলত থাকে বাবাদের উপর। সারা দিন বাবা পোটো পাখিরা ডিমের পাহারা দেয়। আর রাত হলে মা পাখি এবং বাবা পাখি দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। তারা ভাগাভাগি করে ডিম পাহারা দেয় এবং শিকার ধরে।
কলম্বিয়ার চিবোলো শহরে আচমকাই এক মহিলার নজরে পড়ে ওই পাখিটি। দিনের বেলায় একটি গাছের ডালের উপর চুপ করে বসেছিল। প্রথমে ওই মহিলাও কাঠ ভেবেই ভুল করেছিলেন। কাছে যেতেই পাখিটি চোখ খুলে ডাকতে শুরু করে। কিছু ক্ষণের জন্য ঘাবড়ে যান তিনি। তারপরই ওই পোটো পাখির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে দেন যা ভাইরাল হয়। সূত্র: রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।