Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নির্ধারিত সময়ে সেনা ফেরানো কঠিন

ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছেন বাইডেন-শি জিনপিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০৬ এএম

আগামী পহেলা মে-র মধ্যে মার্কিন সেনাদলের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কথা। গত প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে আছে মার্কিন সেনা। তালেবানের সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চুক্তি হয়েছিল, এপ্রিলের মধ্যে সব মার্কিন সেনা দেশে ফিরে যাবে। ট্রাম্প বেশ কিছু সেনা সরিয়েও নিয়ে গেছেন। তারপরেও এখন আড়াই হাজার মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে আছে। মার্কিন ব্রডকাস্টার এবিসি-কে বাইডেন বলেছেন, ‘আমি এখন সিদ্ধান্ত নেব, কবে তারা দেশে ফিরবে। হতে পারে এপ্রিলের মধ্যে। তবে তা খুবই কঠিন। তালেবান সঙ্গে সঙ্গে বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, ১ মে-র মধ্যে মার্কিন সেনা দেশে ফিরে না গেলে তাদের ফলভোগ করতে হবে। সংবাদসংস্থা এএফপি-কে তালেবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আমেরিকাকে দোহা চুক্তি মানতে হবে। মার্কিন সেনাকে ১ মে-র মধ্যে দেশে ফিরতেই হবে। কোনো যুক্তি দেখিয়ে বা কোনো ছুতোয় তারা যদি ফিরে না যায়, তা হলে যে পরিণতি হবে, তার জন্য তালেবান দায়ী থাকবে না। বাইডেনের মন্তব্য এসেছে আফগানিস্তান নিয়ে মস্কো বৈঠকের একদিন আগে। মস্কোয় রাশিয়া, চীন, অ্যামেরিকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের প্রধান নেতারা এবং তালেবানের প্রতিনিধিরা আফগান সমস্যা সমাধানের জন্য বৈঠক করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞের মতে, শান্তি চুক্তি হওয়ার আগে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সেনা যদি আফগানিস্তান থেকে চলে আসে, তাহলে সেখানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। এমনিতেই ট্রাম্প অ্যামেরিকার সেনার সংখ্যা অনেকটাই কম করে দিয়েছেন। ২০০১ সালের পর এত কম মার্কিন সেনা কখনো আফগানিস্তানে থাকেনি। বাইডেন বলেছেন, ‘তালেবানের সঙ্গে ট্রাম্প যে চুক্তি করেছিলেন, তা খুব ভালোভাবে আলোচনা করে করা হয়নি।’ বাইডেন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের পর তার কাছে ক্ষমতার হস্তান্তর খুব সহজভাবে হয়নি। অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। তাই এখন আফগানিস্তান নিয়ে তিনি সব দিক বিবেচনা করছেন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বাইডেন তালেবানের সঙ্গে চুক্তি আবার খতিয়ে দেখার দাবি করেছিলেন। বর্তমান চুক্তি অনুসারে অ্যামেরিকা সমর্থিত আফগান প্রেসিডেন্টকে অর্ন্তর্বতী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই সরকারে যারা থাকবেন, তার অর্ধেককে তালেবান মনোনীত করবে। কিন্তু আফগান প্রেসিডেন্ট এই শর্ত মানতে চাইছেন না। অপর দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী ২২ এপ্রিল দুই নেতার মধ্যে প্রথম ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে। কারণ ওই সময়ে ধরিত্রি দিবস উপলক্ষে ওয়াশিংটনে ‘বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আবহাওয়া বিষয়ক শীর্ষ বৈঠক সম্মেলন’ আয়োজন করছেন বাইডেন। এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বনেতাদের একত্রিত করে আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা করা। আবহাওয়া পরিবর্তন মোকাবিলাকে বাইডেন এরই মধ্যে তার পররাষ্ট্র নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার গুরুত্বপ‚র্ণ উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদের যেখানে স্বার্থ রয়েছে সেখানে আমরা চীনের সঙ্গে সহযোগিতা করবো। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীন হচ্ছে বিশ্বে কার্বন নির্গমনকারী সবচেয়ে বড় রাষ্ট্র। দেশটি বিশ্বের ৩০ ভাগ কার্বন নির্গমন করে থাকে। তবে ২০৬০ সালের আগে কার্বন নির্গমন শ‚ন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ব্যাপারে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। দুনিয়াজুড়ে কার্বন নির্গমনে যুক্তরাষ্ট্রের স্থান হচ্ছে দ্বিতীয়। দেশটি বিশ্বের প্রায় ১৫ ভাগ কার্বন নিষ্ক্রমণ ঘটিয়ে থাকে। ২০৫০ সালের মধ্যে তারা এই নির্গমন শুন্যে নামিয়ে আনতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার আলাস্কার অ্যাংকরেজে। সেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভানের সঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং দেশটির শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ইয়াং জিয়েচির বৈঠকের কথা রয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকা, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ