Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইন্দো-প্যাসিফিকে অগ্রাধিকার ব্রিটেনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২১, ১২:০৬ এএম

পররাষ্ট্রনীতি পুনঃনির্মাণের অংশ হিসেবে ইউরোপের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছে ব্রিটেন। তারা দৃষ্টি দিচ্ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দিকে। ১৬ই মার্চ ঘোষিত পররাষ্ট্র, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা নীতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। তবে এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে বৃটেনের নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পর্কে ভীতিকর রেফারেন্স দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইউরেক্টিভ। এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন যে, যেসব দেশ (ব্রিটিশ) মূল্যবোধের বিরোধিতা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতার আর্ট বা ধরণ নতুন করে শিখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। শীতল যুদ্ধের পর সবচেয়ে বিস্তৃত বলে তিনি ব্রিটেনের নতুন ‘ইন্টিগ্রেটেড রিভিউ’কে বর্ণনা করেন। এর অধীনে রয়েছে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি, বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক নীতি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দিকে মোড় পরিবর্তন করলেও এ বছর ট্রান্স-প্যাসিফিক মুক্ত বাণিজ্য বিষয়ক চুক্তিতে যুক্ত হতে আবেদন করতে হবে ব্রিটেনকে। ‘গেøাভাল ব্রিটেন ইন এ কমপিটিটিভ এইজ’ শীর্ষক রিভিউয়ে বলা হয়েছে, ব্রিটেনের জন্য সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রভিত্তিক হুমকি হলো চীন। তাদেরকে সিস্টেমেটিক প্রতিযোগী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ব্রিটেন বলেছে, এই সপ্তাহে এশিয়া-প্যাসিফিসের বৃহৎ ১০টি দেশের মুক্ত বাণিজ্য বøকে যুক্ত হতে আবেদন করছে তারা। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একক বাজার ছেড়ে আসার খুব বেশি পরে এ আবেদন করছে না তারা। বরিস জনসন বলেছেন, আমাদের মতো একটি মুক্ত সমাজের বিরুদ্ধে বিরাট আকারে চ্যালেঞ্জ হবে চীন এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তা সত্তে¡ও আমরা চীনের সঙ্গে কাজ করবো, যেখানে আমাদের ম‚ল্যায়ন হবে এবং স্বার্থ রক্ষা হবে। এর মধ্য দিয়ে আমরা একটি শক্তিশালী এবং ইতিবাচক অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। আবহাওয়া পরিবর্তনের বিষয়ে সমাধান করতে চাই। এ সময় রাশিয়াকে বৃটেনের প্রকৃতপক্ষে ও সরাসরি সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়, এই দেশটি পুরোদমে বিপজ্জনক। উল্লেখ্য, স¤প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। এর প্রেক্ষাপটে ওই রিভিউ প্রকাশ করা হয়েছে। রিভিউয়ে বরিস বলেছেন, গত বছর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে এসেছে তার দেশ। এখন বøকের বাকি সদস্যদের সঙ্গে গঠনম‚লক ও ফলপ্রস‚ সম্পর্ক চায় ব্রিটেন। এ সময়ে তিনি আরো বলেন, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে যে বিচ্ছেদ ঘটেছে বৃটেনের, তার ফলে ব্রিটিশরা মুক্তভাবে, স্বাধীনভাবে, ভিন্ন পন্থায় এবং আরো ভালোভাবে সবকিছু করতে পারবে। তার মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি এবং রাজনীতিও। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক কোনো সম্পর্ক ব্রিটেন চাইবে কিনা তা উল্লেখ করা হয়নি ওই রিভিউয়ে। এতে বিভিন্ন দিশের সঙ্গে আলাদা আলাদা সম্পর্ক নিয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বৃটেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মিত্র ও অংশীদার হলো যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিবেশী ও মিত্রদের সঙ্গে কাজ করার নতুন উপায় খোঁজার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এতে ফ্রান্স এবং জার্মানিকে গুরুত্বপ‚র্ণ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইউরেক্টিভ অনলাইন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ