বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে এবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রæত বিচার) আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান বাদলের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে দ্রæত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক সোয়েব উদ্দিন খান আরজুমান পারভীন ও ইকবাল হোসেনের মামলা দু’টি গ্রহণ করে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন গত ৮মার্চ সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। এসময় হামলাকারীরা ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। এ ঘটনায় খিজির হায়াত খানের স্ত্রী আরজুমান পারভীন বাদী হয়ে আবদুল কাদের মির্জাকে প্রধান, মির্জার ভাই শাহাদাত হোসেনকে দ্বিতীয় ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাসিককে তৃতীয়সহ ৯৭ জনরে নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৫০-৬০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দ্রæত বিচার ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সোয়েব উদ্দিন খান মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে কঠোর পুলিশী পাহারায় মঙ্গলবার সকালে আমলী আদালত-২ এ হাজির করা হয়। এসময় বাদলের জামিনের জন্য আদালতে একটি আবেদন করা হয়। একই মামলায় অপর ৮ আসামির ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান বাদলের জামিন আবেদন ও অপর ৮ আসামির রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। একই সাথে মিজানুর রহমান বাদলকে আরও ২টি মামলায় শোন এরেস্ট দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফেইসবুকে লাইভে আসার একটু আগে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমার পরিবার আমাকে ধ্বংস করি দিছে।
আমি কথা বলতে লাগলেই তারা বাধা দেয়। এখন আমার সমস্ত ছেলে পেলে ধরি লই যায়। অস্ত্র দিয়ে ধরাইতেছে। আমি নিরাপদ থাকলে কি অইবো। আমারে পুলিশে নিরাপত্তা দেয়। কিন্তু আমার কর্মীরাতো নিরাপদ নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।