পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের পরিবর্তন করা হচ্ছে এমন খবরে গতকাল লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা পতনে রূপ নিয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। একইসঙ্গে পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।
অথচ এদিন লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হয়। তালিকাভুক্ত প্রায় সবকটি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ার পাশাপাশি অন্যান্য খাতেরও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু বেলা ১১টা ১০ মিনিটের পর হঠাৎ করেই শেয়ারবাজারে ছন্দপতন ঘটে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠান পতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে। এতে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। যা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। অবশ্য অন্য খাতের একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও ব্যাংক কোম্পানিগুলো সে পথে হাঁটেনি। যদিও দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখানোর পরও কিছু ব্যাংক শেষ পর্যন্ত পতনের তালিকায় চলে যায়। লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় যেখানে মাত্র একটি ব্যাংকের শেয়ার দাম কমে, সেখানে দিনের লেনদেন শেষে ৫টি ব্যাংক পতনের তালিকায় চলে যায়। আর দাম বাড়ার তালিকায় শেষ পর্যন্ত স্থান হয়েছে ১৫টি ব্যাংকের। অথচ প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২১টি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়ে।
এদিকে দাম কমার তুলনায় তিনগুণ বেশি ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়লেও সবখাত মিলে দরপতনের পাল্লায় ভারি হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১০৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৩টির। আর ১১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হওয়ায় দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫১৬ পয়েন্টে নেমে গেছে। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ১৭ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ১১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৯৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬২৩ কোটি ৪ টাকা। সে হিসেবে লেনেদেন বেড়েছে ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৩৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৬ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৬টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (বুধবার) দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) থেকে এ তথ্য জানা গেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে ডিএসইর জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার আবার যথানিয়মে শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, আদালতসহ অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠান ১৭ মার্চ বন্ধ থাকবে। এ উপলক্ষে বুধবার দেশব্যাপী দোকান ও মার্কেট (শপিং মল) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে আমরা ১৭ মার্চ সারা দেশের সব দোকান ও শপিং মল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে হোটেল, ফার্মেসি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।