পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শীর্ষক আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তাৎক্ষণিক সরাতে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ যেন প্রতিবেদনটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে অনলাইন থেকে সরিয়ে ফেলে এবং পুনরায় আপলোড না করে, সেই বিষয়ে অনুরোধ জানাতে বলা হয়। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) তাৎক্ষণিকভাবে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
গতকাল সোমবার এ বিষয়ক হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশ পায়। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ডিভিশন বেঞ্চ গত ১৭ ফেব্রæয়ারি এই আদেশ দিয়েছিলেন। পূর্ণাঙ্গ রায়টি ৩৭ পৃষ্ঠার।
এর আগে এ বিষয়ক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি আদালতে ৬ অ্যামিকাস কিউরির (আদালত সহায়ক আইনজীবী) মধ্যে ৫ জন আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের বিপক্ষে মত দেন। তারা হলেন, সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামাল, কামাল উল আলম, প্রবীর নিয়োগী ও শাহদীন মালিক। তারা এ বিষয়ে করা রিটটি ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ মর্মে মতামত দেন। অপর অ্যামিকাস কিউরি অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু বাংলা দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধের পক্ষে মত দেন।
অ্যাডভোকেট কামাল উল আলম তার মতামতে বলেন, রিট পিটিশনার ব্যক্তিগতভাবে সংক্ষুব্ধ হওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি ক্ষতিগ্রস্তও নন। এ কারণে রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি এও বলেছেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তিকে বিতর্কিত করা হলে রাষ্ট্রকেই বিতর্কিত করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বলা হচ্ছে। অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র দেখাতে পারল না।
অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী মতামতে বলেন, দেশে আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করা উচিত হবে না। এ বিষয়ে করা রিটটিও গ্রহণযোগ্য নয়।
আরো আগে ১ ফেব্রুয়ারি কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল-জাজিরা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। ৮ ফেব্রুয়ারি সম্প্রচারিত প্রতিবেদনটি বন্ধে করা হয়। রিটে সংবাদমাধ্যমটিতে প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনটি ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে অপসারণ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ব্যারিস্টার এনামুল কবীর ইমন বাদী হয়ে এ রিট করেন। রিটে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্যপ্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হয়। ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। প্রতিবেদনে উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়। সরকারিভাবে প্রতিবেদনটির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও এ প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদনকে ‘অসত্য ও বানোয়াট’ বলে অভিহিত করা হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এনামুল কবির ইমন। বিটিআরসি’র পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।