কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নেবেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার রিট দায়েরের অনুমোদন দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের অবকাশকালিন ডিভিশন বেঞ্চ এই অনুমোদন দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনা আইনজীবী পূর্ণিমা জাহান।
গত ৩০ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে সহায়তার অভিযোগে নড়াইলের কলেজ শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্বাসের গলায় পুলিশের উপস্থিতিতে জুতার মালা পরানো হয়। এ ঘটনায় মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র’র পক্ষে অ্যাডভোকেট পূর্ণিমা জাহান রিটটি ফাইল করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম (জেড আই) খান পান্না।
এর আগে গত ২৮ জুন শিক্ষকের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনায় প্রয়োজনীয় আদেশ চেয়ে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন পূর্ণিমা জাহান। পরে এ বিষয়টি রিট আকারে আদালতে তোলার পরামর্শ দেন বিচারপতি মো. মজিবুরহমান মিয়া এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চ।
জানা গেছে,ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত মুখপাত্র নূপুর শর্মার ছবি দিয়ে এক কলেজ ছাত্রের ফেসবুকে পোস্ট ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। গত ১৮ জুন দিনভর নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলে। ওইদিন বিকেলে পুলিশ ডেকে তাদের প্রহরায় ক্যাম্পাস ছাড়ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। ওইসময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এসে অধ্যক্ষের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। শিক্ষক স্বপন কুমার হাত উঁচিয়ে ক্ষমা চাইতে থাকেন। পরে তাকে তুলে নেয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। অভিযোগ আনা হয়, বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে মীমাংসার পরিবর্তে নূপুর শর্মার ছবি পোস্ট করা শিক্ষার্থীর পক্ষ নেন স্বপন কুমার বিশ্বাস। একই সঙ্গে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের পুলিশে সোপর্দ করতে তিনি পুলিশ ডাকেন।