বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার সান্তাহারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা খাদ্য সংরক্ষণাগার সাইলোর কোটি কোটি টাকার জমি দখল হয়ে যাচ্ছে। এক শ্রেণির অবৈধ দখলদার দিনের পর দিন খাদ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ জমি দখলে নিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকায়। বর্তমানে সাইলোর জমি দখল করে গড়ে উঠেছে একাধিক চালকল, পুকুর, বসতবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, আপদকালীন সময়ে গম মজুদের জন্য সান্তাহার শহরের দক্ষিণ পাশে একটি সাইলো নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে একই স্থানে ২০১৭ সালে চাল সংরক্ষণের জন্য জাপান সরকারের জাইকার সহয়তায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক সাইলো নির্মাণ করা হয়।
সান্তাহার সাইলো কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহারে দুটি সাইলোর মোট জমির পরিমাণ ৬০.২১ একরের মধ্যে রাস্তা রয়েছে ৩৬.৯৬ একর। সড়কের এ পরিমাণ জমিতে সড়ক ছাড়া এর দু’পাশে অব্যবহৃত জমি রয়েছে। সাইলো কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে সে সকল জমি চলে যাচ্ছে অবৈধ দখলদারদের দখলে। এই সড়কের দু’পাশ ঘিরে রয়েছে প্রায় ১৫টি চালকল। এ সকল চালকল মালিক সাইলোর জমি দখল করে সেখানে চাতাল ও গুদাম নির্মাণ করেছেন। চালকল মালিকদের দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
সাইলোর যান্ত্রিক প্রকৌশলী মেহেদী হাসান জানান, রাস্তার পাশে জমির মধ্যে ৯০ জনকে জমি ও ৮৬ জনকে দোকান ঘর নির্মাণের জন্য অস্থায়ী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী বরাদ্দ প্রাপ্ত জমি গ্রহনকারীরা কোন ভাবেই জমির ধরন পরিবর্তন করতে পারেবন না। কেউ যদি শর্ত অমান্য করে তার বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
সম্প্রতি সান্তাহার শহরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী রাকেশ সাহা সাইলো সড়কের পাশে তৈরী করছেন বিশাল আকৃতির কারখানা তৈরির করেছেন এবং কারখানার সামনে সাইলোর প্রায় এক বিঘা জমি দখল করে নিয়েছেন। অন্যদিকে, সান্তাহার আধুনিক স্টেডিয়াম এলাকায় ডজন খানিক পুকুর খনন করা হয়েছে। পুকুর খনন প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। পুকুর মালিক আব্দুর রহমান, আব্দুল মতিন, ফজলুর রহমান জানান, অচিরেই তারা জমি ইজারা নেবেন। বর্তমানে সাইলোর জায়গায় প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ পুকুর রয়েছে। চালকল মালিক টুটুল হোসেন, ফজু হোসেন, আব্দুল হামিদ জানান, তারা জমি সাইলো কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ইজারা নিয়েছেন। তবে কিছু জমি ইজারার বাইরেও রয়েছে, পর্যায়ক্রমে ওইসব জমি ইজারা নেয়া হবে।
সান্তাহার নাগরিক কমিটির অন্যতম নেতা অধ্যাপক রবিউল ইসলাম বলেন, সারা দেশে সওজের জায়গা, নদী দখল, রেলের জায়গা দখলের মত সাইলোর জায়গাও দখল শুরু হয়েছে। সকল অবৈধ দখল বন্ধে সরকারের জরুরী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। দখল বিষয়ে কারখানা মালিক রাকেশ সাহার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি। কয়েকজন অবৈধ পুকুর মালিক ও চালকল মালিকদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজী হননি। এ বিষয়ে সান্তাহার সাইলো পরিচালক ফয়জুল্লাহ শিবলী বলেন, দ্রুত অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।