রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সবজির হাট বা বাজার নামে খ্যাত ধামরাই উপজেলা রোয়াইল ইউনিয়নের খরারচর বাজার। সারি সারি সাজিয়ে রাখা মিষ্টি কুমড়াগুলো দেখে মনে হয় কৃষকরা সবজি চাষে স্বাবলম্বী বা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে-এর উল্টো চিত্র।
প্রতিদিন বিকেল হলেই এলাকার কৃষকরা ঝুঁড়ি বা ভ্যানগাড়ি করে শত শত মিষ্টি কুমড়া নিয়ে উপজেলার খরারচর বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে।
এ মিষ্টি কুমড়া ক্রয় করার জন্য স্থানীয় কিংবা বাইরের তেমন কোন বেপারী নেই। ফলে উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় হতাশায় ভ‚গছে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক কৃষক তাদের মিষ্টি কুমড়া, টমেটো নিয়ে বাজারে আসলেও নেই উপযুক্ত দাম। স্থানীয় বেপারিরা নাম মাত্র দাম দিয়ে এই সব সবজি ক্রয় করে ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে থাকে। আর হতাশায় সময় কাটাতে হয় কৃষকদের। একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে তাদের সম্পর্কে খরচের হিসাব জানা যায়।
খরারচর এলাকার কৃষক শুকুর আলী বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে ধানের চাষ না করে বেশি লাভের আশায় প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়া ও কপির চাষ করেছি। কিন্তু এখন তার পুরোই উল্টো। প্রায় দুই কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়া কেজি ৫টাকা, তিন কেজি ৭/৮ টাকা, পাঁচ কেজি ১২/১৫ টাকা ও প্রায ৯-১০ কেজি ওজনের মিষ্টি কুমড়ার দাম মাত্র ৩০ টাকা। তাও যদি ঢাকা থেকে ব্যাপারি আসে। আর স্থানীয় ব্যাপারির হাতে পড়লে কোন দিন মিষ্টি কুমড়া রেখেই বাড়ি চলে যেতে হয়। তিনি আরো বলেন, মিষ্টি কুমড়া ছাড়াও জমিতে পাতা কপি, টমেটো নষ্ট হচ্ছে। তুলে বাজারে এনে কোন লাভ নেই। টমেটো ২-৩ টাকা কেজি, বড় সাইজের একটা পাতা কপি ৩-৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই এ সব সবজি জমিতেই নষ্ট হচ্ছে।
আরেক কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছি। কিন্তু এখনো ২০ হাজার টাকা ঘরে নিতে পারি নাই। ১০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ ১২শ’ টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়। এরপর বীজ বোপন থেকেই শুরু হয় খরচ। সঠিক পরামর্শ নিয়ে চাষ করার জন্য পাওয়া যায় না কৃষি কর্মকর্তাদের। নিজেদের মতো চাষ করেছি। জমিতেই অনেক সবজি নষ্ট হয়ে যায়। দূরের বেপারীরা না আসায় স্থানীয় বেপারীদের কাছে পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।
এমন আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন অনেক কৃষক। তারা বলেন, কৃষি কাজই আমদের ভরসা। সবজির ন্যায্য দাম না পেলে আমরা কোথায় যাব। পরিবারের ভরণপোষণ কিভাবে করবো আমরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান বলেন, একই সময়ে বিভিন্ন প্রকার সবজি বেশি উৎপাদন হয়েছে। ফলে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা কম থাকায় কৃষক তার সবজির দাম একটু কম পাচ্ছেন। কিন্তু, সবজি উৎপাদনে সময় অনুযায়ী যদি একটু ভিন্নতা থাকে, তবে কৃষক তা নায্য দামে বিক্রি করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।