পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজারে গরু গোশতের দাম কমাতে না পারার কারণ হিসেবে ‘চাঁদাবাজি’ আর হাটের খাজনাকে দায় দিতে চান দেশের গোশত ব্যবসায়ীরা। এই দুটি বিষয় মীমাংসা করা না গেলে ক্রেতাদের তিনশ টাকা কেজিতে গোশত খাওয়ানো যাবে না বলে দাবি করেছে তারা। তবে চাঁদাবাজি বন্ধ হলে তিনশ টাকা কেজিতে গোশত খাওয়ানো যাবে।
গতকাল রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন গোশত ব্যবসায়ী সমিতি সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম এমনটাই দাবি করেছেন। রবিউল আলম বলেন, গরুর হাটের খাজনা সহজ করতে হবে এবং মাস্তান মুক্ত করতে হবে। কারণ, কৃষক শতকরা ৫ টাকা খাজনা দিয়ে পশুপালন উন্নয়ন করতে পারবে না। গোশত ব্যবসায়ীরাও ৩০০ টাকা কেজিতে গোশত খাওয়াতে পারবে না। সেই সঙ্গে মহিষের গোশত বাংলাদেশে পাচার বন্ধ করতে হবে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত গোশত ও পশু পাচার করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে দাবি করেন রবিউল আলম। আমাদের চর ও বনাঞ্চলে ২০ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণের মাধ্যমে পশুপালনে স্বনির্ভরতা আনা সম্ভব। এর ফলে এক লাখ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। নেতা বলেন, আপনারা কি জানেন, নিরাপদ খাদ্যের নামে আমরা কি খাচ্ছি ও খাওয়াচ্ছি। আমাদের দেওয়া গোশত জীবাণুমুক্ত কি-না তাও অনেকে জানেন না।
অনুষ্টানে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাজারে গোশত কিনতে গেলে তাতে আমরা অনেকেই হাত দিই। কিন্তু আমাদের হাতে অনেক ধরণের জীবাণু থাকে। আর এভাবে হাতের জীবাণুগুলো গোশতে চলে যায়। দেশে যদি নিরাপদ জবাইখানা বা জীবাণুমুক্ত গোশত কাটার ব্যবস্থা থাকত, তাহলে গোশত খেয়ে মানুষ অসুস্থ কম হতো।
ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, আমরা তিনবছর ধরে গোশতের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সফল হয়েছি। খামারিরা এখন স্বপ্ন দেখতেছে, অচিরেই আমরা আমাদের দেশের গোশত রপ্তানি করতে সফল হবো। ভারত থেকে আমদানি করা হিমায়িত মহিষের গোশত হারাম না হালাল? আমি সন্দেহ পোষণ করছি- হালাল পণ্য রপ্তানিতে সার্টিফিকেট লাগে। কিন্তু সেটা তাদের কাছে নেই।
বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশন মূল্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডক্টর আলমগীর জামান চৌধুরী, জাতিসংঘ প্রকল্প বিশেষজ্ঞ ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ড. কুলসুম বেগম চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।