পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারে দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের বড় দরপতন হওয়ায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে একপ্রকার ধস নেমেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
গতকাল দিনের লেনদেন শেষে শেয়ারবাজার ধসে রূপ নিলেও এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। এতে প্রথম ৫ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দামবৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকায় প্রথম এক ঘণ্টা সূচকও ঊর্ধ্বমুখী থাকে।
কিন্তু লেনদেনের শুরু থেকেই ভিন্ন চিত্র দেখা যায় দামের দিক থেকে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে। রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, মেরিকো, বার্জার, লিন্ডে বিডি, ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমার প্রবণতা এক সময় গিয়ে পড়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপরে। এতে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় মুহ‚র্তের মধ্যে ধসে রূপ নেয় সূচক।
ডিএসইতে শেয়ার দাম হাজার টাকার ওপরে থাকা ৮টি কোম্পানির মধ্যে ৭টিই দিনের লেনদেন শেষে পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। রেকিট বেনকিজার, ইউনিলিভার কনজুমার কেয়ার, মেরিকো, বার্জার, লিন্ডে বিডি, ওয়ালটনের পাশাপাশি পতরের তালিকায় রয়েছে ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্ট। পতনের মধ্যে হাজার টাকার ওপরে দাম থাকা একমাত্র রেনেটার শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
এছাড়া শেয়ার দাম হাজার টাকার নিচে এবং চারশ টকার ওপরে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫টির দরপতন হয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে দুটির। আর দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দামি শেয়ারের এই দরপতনের দিনে ডিএসইতে সবখাত মিলে দামবৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৭৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১৭২টি। আর ১০৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হলেও দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকের। আগের দিনের তুলনায় এই সূচকটি ২৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২২ কোটি ৪৪ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৮০৯ কোটি ৫০ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৮৭ কোটি ৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৮১ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।
এদিকে, এদিন সিএসইর সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৩৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৫টির এবং ৫৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।