Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উদযাপন সিলেটে

ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে রক্ষা করতে হবে নদীর অস্তিত্ব

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০২১, ৭:১৪ পিএম

“সিলেটের প্রাকৃতিক সম্পদের বড় অংশজুড়ে রয়েছে নদী। তাই এই প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে বাঁচাতে হবে নদী। নদী তীরে গড়ে উঠেছিল সিলেট নগরী। পৃথিবীর সকল সভ্যতার গোড়াপত্তণন হয়েছে নদীতীরে। আজ নদীর সাথে সম্পর্ক নেই আমাদের। দখল-দূষণের মাধ্যমে নদীকে প্রতিনিয়ত বিপন্ন করছি আমরা। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে রক্ষা করতে হবে নদীর অস্তিত্ব।”

আজ রবিবার (১৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সিলেট শাখা ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার-এর যৌথ উদ্যোগে সুরমা নদী তীরের চাঁদনীঘাটে আয়োজিত নদীতীরে নদীপ্রেমি সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেট শাখার সহ সভাপতি প্রফেসর ড. নাজিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- নর্থ-ইষ্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাপা সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম কিম।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক ও বাপা সিলেট শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল ষ্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল ও সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস সোহেল, প্রতœতত্ব সংগ্রাহক ডা. শাহজামান চৌধুরী বাহার, সারী নদী বাঁচাও আন্দোলন-এর সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদি, ভূমিসন্তান বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক আশরাফুল কবির, ইনোভেটর কো-অর্ডিনেটর প্রণব কান্তি দেব, নারী নেত্রী ইন্দ্রানী সেন, ব্লু বার্ড স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা আফরাহিম আহমেদ এলিজা, প্রাণীরক্ষা বিষয়ক সংগঠন সোসাস-এর কো-অর্ডিনেটর ওয়াজি আহমেদ অমু, কিশোর সংগঠন আলোর পণ-এর নুসরাত ইলাহী, সমাজকর্মী বাবলু আল মামুন প্রমুখ।

নদীপ্রেমি সমাবেশে আরও বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস (ইন্টারন্যাশনাল ডে অব অ্যাকশন ফর রিভারস) নদীর প্রতি জবাবদিহি করার দিন। নদী আন্দোলনকারীদের আন্দোলন জোরদার করার শপথ নেয়ার দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, প্রতিনিয়ত দান করে চলেছে নদী আমাদের, সেই দানের প্রতিদান কীভাবে দিই আমরা, করতে হবে তার হিসাব-নিকাশ । বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস লিখতে হলে লিখতে হবে নদীর কথা। মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম স্লোগান ছিল দেশের মানুষের 'তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা-মেঘনা-যমুনা'। আজ সেই ঠিকানা হারাতে বসেছি আমরা।

আব্দুল করিম কিম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ১৯৯৭ সালে ব্রাজিলে কুরিতিবা শহরে এক সমাবেশ থেকে নদীর প্রতি দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দেওয়া এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেখানে একত্র হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার শিকার জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। তাইওয়ান, ব্রাজিল, চিলি, লেসোথো, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঐ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা ১৪ মার্চকে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশে নদীকৃত্য দিবস উদযাপন শুরু হয় ২০০৬ সাল থেকে । সিলেটে ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এই দিবস উদযাপন করে আসছে। বক্তব্যের শুরুতে তিনি এবারের আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি প্রয়াত সাংবাদিক, লেখক ও নদী সংগ্রামী সৈয়দ আবুল মকসুদকে উৎসর্গ করেন। সৈয়দ আবুল মকসুদ বাপা কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে সিলেট তথা দেশের নদ-নদী রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ