পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু মুসলিম নারীদের বোরকা পরিধানে নিষিদ্ধ এবং মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্তে বিশ্বে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে। ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ইস্যুর অজুহাতে বোরকা নিষেধাজ্ঞায় প্রস্তাব ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অবিলম্বে বোরকা নিষিদ্ধ এবং মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। আজ রোববার বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ : শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মুসলিম মহিলাদের বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ এবং এক হাজারেরও বেশি ইসলামিক স্কুল বা মাদরাসা বন্ধ করার সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
আজ এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ইস্যুর অজুহাতে বোরকা নিষেধাজ্ঞায় প্রস্তাব ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা সরকার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নেতৃদ্বয় বলেন, হিজাব বা বোরকা শরয়ী বিধান যা মুসলমানদের নারীদের জন্য ফরয। এ ফরয বিধান নিষিদ্ধের পদক্ষেপ বিশ্বে নতুন করে সঙ্কট সৃষ্টি করবে। বোরকা নিষিদ্ধ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল। মুসলিম নারীদের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চায় বাধা দিয়ে শ্রীলঙ্কা সরকার ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। অপরদিকে বীরসেকেরা সরকার দেশটিতে এক হাজারের বেশি মাদরাসা বন্ধ করার পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনেরও লঙ্ঘন। তারা এ ধরণের চক্রান্ত থেকে বিরত থাকতে শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় বিশ্বমুসলিম ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রীলঙ্কা সরকারের ইসলাম ও মুসলিম বিরোধী কর্মকান্ড কঠোরভাবে প্রতিহত করতে বাধ্য হবে। খেলাফত মজলিস : শ্রীলঙ্কায় সংখ্যালঘু মুসলিম স¤প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মুসলিম মহিলাদের বোরকা পরিধান নিষিদ্ধ এবং এক হাজারেরও বেশি ইসলামিক স্কুল বা মাদরাসা বন্ধের সিদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। আজ এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীসভায় মুসলিম মহিলাদের বোরকা নিষিদ্ধকরণের প্রস্তাব অনুমোদনের পদক্ষেপ নি:সন্দেহে মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ। মুসলিম নারীদের স্বাধীনভাবে ধর্মচর্চায় বাধা দেয়ার অধিকার শ্রীলঙ্কান সরকারের নেই বরং তা মানবাধিকারের লঙ্ঘনের শামিল। শ্রীলঙ্কান বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর একের পর এক ইসলাম ও মানবতাবাদ বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। করোনাকালে মুসলামানদের লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে, যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে শ্রীলঙ্কান সরকারকে মুসলমানদের নাগরিক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধের জোর দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।