মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এই শান্তি বজায় রাখার সমঝোতা পরস্পরের জন্য উপকারী হলেও চীন যুদ্ধ ছাড়া অন্য যে কোনও উপায়ে ভারতকে জব্দ করতে রাজামান্ডালাতে শক্তভাবেই অবস্থান করছে। ভারতের পশ্চিম ও পূর্ব সীমান্তে পাকিস্তান এবং মিয়ানমারের সাথে চীনের মিত্রতা, দক্ষিণে শ্রীলঙ্কায় চীনপন্থী সরকার ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতের আধিপত্যকে খর্ব করার জন্য একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ।
ভারতের রাক্সা (প্রতিরক্ষা) এবং পালান (কল্যাণ)-এর জোড়া লক্ষ্য তার আন্তর্জাতিক আচরণের দিক-নির্দেশনা দেয়। যেহেতু ভারতের নব্বই শতাংশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় পানিসীমা দিয়ে বাহিত হয়, তাই এ অঞ্চলটি ভারতের প্রতিরক্ষা, সমৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলে অভ্যন্তরীণভাবে ভারসাম্য বজায় রাখা সবচেয়ে পছন্দনীয় হ’ল কৌটিল্যীয় নীতিমালা।
কৌটিল্য বা চানক্যনীতিতে রাষ্ট্রের সুস্বাস্থ্যের প্রথম ৬টি প্রকৃতি- শাসক, নীতি নির্ধারকগণ, অঞ্চল এবং জনসংখ্যা, দুর্গ, কোষাগার এবং সমরশক্তি রাজামান্ডালায় যে কোনও রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার নিশ্চিত উপায়। বাস্তবে, যখন একটি অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চলে, তখন কোষাগার, যা অর্থনীতির প্রতিনিধিত্ব করে, সেটি পুনরুদ্ধার করতে যথেষ্ট সময় নিতে পারে এবং ফলস্বরূপ অভ্যন্তরীণ আর্থ-সামাজিক ফাটলটি আরও গভীর হয়ে উঠতে পারে।
এ ফাটল পরবর্তীতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পথে বাধা তৈরি করতে পারে এবং অর্থ বরাদ্দে অগ্রাধিকার না পেলে সামরিক আধুনিকায়নের গতি ধীর হয়ে যেতে পারে। ভারতের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য প্রয়োজনীয় হলেও, বর্তমানে যে গতিতে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি ও ভূ-অর্থনীতির খেলাটি চলছে, তার সাথে তাল মিলিয়ে সামঞ্জস্য করা সম্ভব নাও হতে পারে।
কম সফল রাষ্ট্রের ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে শত্রুদের জব্দ করার (আতিসামধান) প্রাথমিক উপায় হ’ল মিত্রদের সাথে সুসম্পর্ক নিশ্চিত করা। তবে, এ কাজটি সতর্কতার সাথে করতে হবে। একদিকে কৌশলগত অংশীদারিত্ব (সামাভায়) দুর্বল রাষ্ট্রগুলিকে শত্রুর উত্থানের সাথে সাথে ভারসাম্য বজায় রাখার উন্নত সুযোগ প্রদান করে, অন্যদিকে তারা রাজনৈতিক আধিপত্য ও কৌশল খাটানোর জন্য সূ² অস্ত্র হিসাবে কাজ করে।
কৌটিল্যের মতে, শক্তি এবং নির্ভরযোগ্যতা হ’ল সঠিক অংশীদার সন্ধানের মূল যোজক এবং আলোচনার দক্ষতা আকর্ষণীয় অংশীদারিত্বগুলোর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নিয়ামক। আমেরিকা পরাশক্তি চীনের উত্থানের সাথে সাথে আন্তর্জাতিক শাসন ব্যবস্থায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব খর্ব করার লক্ষ্যে ভারতকে তার অংশীদার করার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার ইস্যুতে ইতিবাচক অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে, লাদাখ পরিস্থিতির প্রভাব যে কোনো গভীর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দেশটির মৌলিক অবস্থানকে কীভাবে বদলে দিতে পারে, তা এখনও বোঝা মুশকিল। এ ক্ষেত্রে চার জাতির জোট ভারতের অবস্থানের সূচক হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। সূত্র : দ্য প্রিন্ট (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।