পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশে আজ চরম সামাজিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজ করছে। বারবার ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন জনগণের ভোটাধিকার কেঁড়ে নিচ্ছে। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে। অন্যথায় দেশপ্রেমিক জনগণ সরকার ও জনগণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর আস-সাঈদ মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরীর ব্যবস্থাপনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত অঞ্চল ভিত্তিক তারবিয়াত অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ একথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে দূরে সরিয়ে রাখতে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মিডিয়ার মাধ্যমে পুরো মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বড় করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মনে রাখতে হবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা কখনও বড় উদাহরণ হতে পারেনা। আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা গুলোরও তীব্র নিন্দা জানাই। সভাপতির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান বলেন, মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় আজ পর্যন্ত হল দখলকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয়নি। বরং বিশ্বজিৎ হত্যা, আবরার হত্যা, ধর্ষণে সেঞ্চুরি উদযাপনকারী, চরিত্রহীন ছাত্রনেতাদের অসংখ্য উদাহরণ আমরা অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দেখা যায়। খোদা ভীরু দেশপ্রেমিক জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করার জন্য। প্রতিটি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠান সমূহে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও ধর্মীয় সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে নিরাপদ করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব আমীনুল ইসলাম, সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শাইখুল হাদীস মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী, বরকত উল্লাহ লতিফ, এডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার সহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।