পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ঢাকার চারপাশের চারটি নদী- বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ দূষণমুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য রায়েরবাজার এলাকায় ১ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পয়োঃশোধনাগার নির্মাণ করা হবে। নদীদূষণরোধ ও পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পটি বার্ষিক পরিকল্পনার একটি অংশ। এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ওয়াসা। ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসটিপি নির্মাণ জরুরি বলে মনে করছে ঢাকা ওয়াসা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ঢাকা রায়েরবাজার এলাকায় বাস্তবায়েনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা শহর একটি জনবহুল শহর যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সুতরাং পরিবেশবান্ধব ঢাকা গড়তে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শহরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের যৌক্তিকতা বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান ইনকিলাবকে বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ঢাকাকে নিয়ে ২০১২-১৩ সালে আমরা একটি মাস্টার প্লান্ট করেছি। সেই প্লান্ট অনুসারে বৃহত্তর ঢাকা শহর এবং ঢাকার আশপাশে ১১টি পয়োঃশোধনাগার নির্মাণ করার কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ছিলে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। এখন সময় কমিয়ে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। ইতোমধ্যে রায়ের বাজার এলাকায় বাস্তবায়েনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রায়েরবাজার, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, বসিলা, কল্যাণপুর, শ্যামলী ও তার নিকবর্তী এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
জানা গেছে, ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ওয়াটার ও স্যুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রণীত এ মাস্টার প্ল্যানে মহানগরীর সমগ্র এলাকাকে ১১টি স্যানিটেশন এলাকায় বিভক্ত করা হয়। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলোর (এসটিপি) কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
৯৩০ কিলোমিটার বিভিন্ন দৈর্ঘের ভ‚গর্ভস্থ লাইন, ২৬টি লিফট স্টেশন এবং পাগলা এলাকায় ১টি পয়োঃশোধনাগারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ঢাকার সিউয়েজ (ময়লাযুক্ত পানি) ব্যবস্থা। ঢাকা ওয়াসা রাজধানীর মাত্র ৩০ শতাংশ এলাকায় সিউয়েজ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পেরেছে। মহানগরীতে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার পানি সরবরাহের পাইপ লাইন থাকলেও সিয়েজ লাইন আছে মাত্র ১০০ কিলোমিটার।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬ দশমিক ২২ একর ভ‚মি অধিগ্রহণ, ৭০ কোটি টাকার ভ‚মি উন্নয়ন, ২১৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ কাজ করা হবে। এছাড়া সীমানা পিলারসহ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে। ২১ জন আউটসোর্সিং জনবল, একটি ল্যাপটপ, ছয়টি ডেক্সটপ একটি ফটোকপিয়ার কেনা হবে। প্রকল্প এলাকায় আনসার নিয়োজিত করা হবে। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে তা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের অধীনে ঢাকা মহানগরীর রায়েরবাজার, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, বসিলা, কল্যাণপুর, শামলী, গাবতলী ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এবং বিপুলসংখ্যক জনগণ পরোক্ষভাবে আধুনিক পয়োঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সুফল পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।