মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মৃত্যুর ২৪ বছর পর আবারও আলোচনায় উঠে এলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। ব্রিটেনের রাজপরিবারের প্রকট বর্ণবাদ ও বর্ণবৈষম্য নিয়ে তার পুত্র এবং পুত্রবধ‚ হ্যারি-মেগানের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ফের আলোচনায় উঠে আসেন তিনি। কারণ হ্যারি-মেগানের মতো তার একটি সাক্ষাৎকারও বিশ্বে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ওই সাক্ষাৎকারের পর ডায়ানাকে তার ফলও ভোগ করতে হয়েছিল। এবার হ্যারি-মেগানের কপালে কী জোটে সেটাই দেখার বিষয়। যদিও ডায়ানার সেই সাক্ষাৎকার নিয়ে তদন্ত করছে বিবিসি। বিবিসির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান প্যানোরমার জন্য ডায়ানার সেই সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মার্টিন বশির। ১৯৯৫ সালে স¤প্রচারিত সেই সাক্ষাৎকারে ডায়ানা বলেছিলেন যুবরাজ চার্লসের সঙ্গে ভেঙে পড়া তার দাম্পত্যের কথা। ডায়ানার কথায় উঠে এসেছিল চার্লসের সঙ্গে ক্যামিলা পার্কারের দীর্ঘ প্রেমের কথা। পাশাপাশি ডায়ানা এটাও স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি চার্লসের পাশাপাশি অন্য পুরুষের সঙ্গেও প্রণয়ে লিপ্ত। ষোড়শী ডায়ানাকে প্রথমবার চার্লস দেখেছিলেন ১৯৭৭ সালে। তখন ডায়ানার দিদি লেডি সারার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল চার্লসের। কিন্তু ডায়ানার সঙ্গে আলাপের পর থেকে ঘুরে যায় প্রেমের অভিমুখ। চার বছর প্রেমপর্বের পরে ১৯৮১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাগদান। নিজের এনগেজমেন্ট রিং নিজেই পছন্দ করেছিলেন ডায়ানা। বাগদানের চার মাস পরে বিয়ে। চার্লস-ডায়ানার রূপকথাসম সেই বিয়ে হয়েছিল ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাই সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে এবং প্রথা ভেঙে। সেই বিয়ের ১৬ বছর পরে বিবিসিতে ডায়ানার বিস্ফোরক সেই সাক্ষাৎকারের দর্শকও সেই সময়ের নিরিখে ছিল রেকর্ড সংখ্যক। ২ কোটি ২৮ লাখ দর্শক শুনেছিলেন যেখানে ডায়ানা বলেছিলেন তার রূপকথার মতো দাম্পত্যে কীভাবে ঘুণ ধরেছিল। মাত্র ৩৬ বসন্তের জীবনে আভিজাত্য ও জনপ্রিয়তা সবসময়েই সঙ্গী ছিল লেডি ডায়ানার। ১৯৬১ সালের ১ জুলাই তার জন্ম নরফোকের বিখ্যাত স্পেনসার পরিবারে। বংশপরম্পরায় তারা ছিলেন আর্ল। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে এই অভিজাত বংশের সুসম্পর্কও বহু দশকের প্রাচীন। বয়সে ১৩ বছরের বড় যুবরাজ চার্লসকে বিয়ের পরে ডায়ানার উপাধি হয় ‘প্রিন্সেস অব ওয়েলস’। বিয়ের আগে শিক্ষিকার চাকরি করতেন। সেটি ডায়ানা ছেড়ে দেন বিয়ের সময়ে। বিয়ের পরের বছর ২১ জুন জন্ম হয় চার্লস-ডায়ানার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের। তার দুই বছর পরে ১৯৮৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জন্ম নেন প্রিন্স হ্যারি। রাজপরিবারের লালফিতের ফাঁসের বাইরে ছেলেদের বড় করতে চেয়েছিলেন ডায়ানা। ছেলেদের প্রথম নাম থেকে তারা কোন স্কুলে পড়বে সব সিদ্ধান্ত ছিল তারই। যখনই সময় পেতেন, প্রোটোকল ভেঙে নিজেই যেতেন ছেলেদের স্কুলে। চেষ্টা ছিল সন্তানদের খোলা হাওয়ার পরিবেশে বড় করতে। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের কারণে ডায়ানার ছোটবেলা ছিল বিধ্বস্ত। তাই তিনি নিজের সন্তানদের একটা সুস্থ ও স্বাভাবিক শৈশব দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আরও অনেক ইচ্ছের মতো ডায়ানার এই স্বপ্নও অসম্প‚র্ণ থেকে যায়। ডায়ানা নিজেও পছন্দ করতেন রাজপরিবারের লাল ফিতের ফাঁসের বাইরে উন্মুক্ত পরিবেশ। নিজের জন্মভ‚মি তথা বিশ্ববাসীর ভালোবাসা পেলেও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সঙ্গে তার দ‚রত্ব ক্রমেই বেড়েছে। বিয়ের পাঁচ বছর পর থেকেই প্রকাশ্যে চলে আসে চার্লস-ডায়ানা সম্পর্কের শৈত্য। সাবেক বান্ধবী ক্যামিলা পার্কারের সঙ্গে চার্লসের সম্পর্ক নতুন করে গাঢ় হয়। এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।