পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম এবং তার স্ত্রী সাবিহা আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ইনকিলাব প্রতিবেদকের সহযোগিতা নিতে বলেছেন হাইকোর্ট। গতকাল (সোমবার) বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ডিভশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ সময় দুদকের কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান সংযুক্ত ছিলেন।
এর আগে গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ ২০ কোটি টাকায় গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম এবং তার স্ত্রী সাবিহা আলমকে দায়মুক্তি প্রদানের বিষয়ে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্পর্কে ব্যাখ্যা তলব করেন।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছ থেকে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন। গতকাল ৮ মার্চ দুদক এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন সংস্থাটির কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান। ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আদালতে দুদকের কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান তার ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের স্ত্রী সাবিহা আলমের অনুসন্ধান এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আশরাফুল আলমের সম্পদের অনুসন্ধান এখনও চলমান। তাকে এখনো দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। দায়মুক্তি প্রক্রিয়ার নেপথ্যে ২০ কোটি টাকার লেনদেন প্রসঙ্গে আদালত জানতে চাইলে খুরশিদ আলম খান বলেন, ইনকিলাব প্রতিবেদক কিভাবে, কোত্থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তা জানতে তাকে তলব করা হোক। তার কাছ থেকে প্রমাণাদি চাওয়া হোক। আদালত তখন বলেন, তার কাছে নিশ্চয়ই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যের সপক্ষে প্রমাণাদি রয়েছে। এটি আমরা চাইব না। দুদক বরং এই অনুসন্ধান-তদন্তের বিষয়ে প্রতিবেদকের সহযোগিতা নিতে পারে। প্রকৌশলী আশরাফুল আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধানটির বিষয়ে পরবর্তীতে আদালত জানতে চাইবেন বলেও জানান আমিন উদ্দিন মানিক। তবে কবে জানতে চাইবেন এটির কোনো দিন-তারিখ আদালত উল্লেখ করেননি। বিষয়টি এখন আদেশের জন্য রয়েছে।
প্রসঙ্গত: গত ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব ‘দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল/২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি!’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা সাঈদ আহমেদ’র করা প্রতিবেদনটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। এটি পরে হাইকোর্টেরও দৃষ্টিগোচর হয়। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খানকে ৮ মার্চের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদান করতে বলেন। এ ধারাবাহিকতায় আজ উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।