Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফায়ার সার্ভিসের তল্লাশি

বন্দি নিখোঁজের তদন্ত শুরু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২১, ৭:২০ পিএম

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে খুনের মামলার আসামি নিখোঁজের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের গঠিত কমিটির সদস্যরা চট্টগ্রাম কারাগারে আসেন। শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের মাধ্যমে কারাগারের অভ্যন্তরে তল্লাশি চালানো হয়। তবে এতে নিখোঁজ বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেলের সন্ধান মেলেনি।

কমিটির প্রধান খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) ছগির মিয়াসহ কমিটির তিন সদস্য চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক এ কে এম ফজলুল হকের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তারা চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি-প্রিজন ছগির মিয়া জানান, হাজতি কারাগার থেকে নিখোঁজ হয়েছে। আমরা তা সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করলে হবে না। বিশাল কারাগার, অনেক সেফটি ট্যাংক, অনেক বড় বড় নালা-নর্দমা। হাজতি কোথাও মরে পড়েও তো থাকতে পারে।
সেজন্য ফায়ার সার্ভিস কল করেছিলাম। তারা এসে সব সেফটি ট্যাংক-নালা, ভবনের ছাদ, কার্নিশসহ সব জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজেছে। পাওয়া যায়নি, তবে তল্লাশি অব্যাহত থাকবে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখছি। বন্দি নিখোঁজের ঘটনা তদন্তে গঠিত তিন সদস্যের কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ফোরকান ওয়াহিদ। তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

নিখোঁজ হাজতি মো. ফরহাদ হোসেন রুবেল নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মীরকাদিম গ্রামের শুক্কুর আলী ভান্ডারির ছেলে। রুবেল নগরীর সদরঘাট থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি আগ্রাবাদের মিস্ত্রিপাড়া থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন। ফরহাদ হোসেন রুবেল কারাগারের পঞ্চম তলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। শনিবার ভোর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ঘটনায় রোববার জেলার ও ডেপুটি জেলারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দুই কারারক্ষীকে বরখাস্ত ও এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের তিন সদস্যদের কমিটির পর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনও তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে। এতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ