পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারিকালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যায়। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের করানে করোনা মহামারির শুরুতে লকডাউনের সময় বেড়ে যাওয়া সহিংসতা অনেকাংশেই কমে এসেছে বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।
কোভিড-১৯ এর আক্রমন মোকাবেলা, চ্যালেঞ্জসমূহ এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে করণীয় বিষয়ে মিউনিসিপাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব), ইউএনডিপির এলআইইউপিসি প্রকল্প ও এফসিডিও- এর যৌথ আয়োজনে ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে গতকাল এসব কথা বলেন তারা। অনুষ্ঠানটির কারিগরি সহায়তা দেয় নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম বাংলাদেশ (ইউডিজেএফবি)।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমাতায়ন, নরী শিক্ষার প্রসার ও নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশে নারী অধিকার ও শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির শুরুতে দেশে নতুন সংকট দেখা দিয়েছিল। এ ভাইরাসটি নতুন থাকায় সব সেক্টরে স্থবিরাতা নেমে আসে। এতে কর্মক্ষেত্রে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হন। পরিবারেও নারী নির্যাতনের ঘটনা কিছুটা বেড়ে যায়। আর্থিক সংকটে পড়া নারীদের সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরণের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কর্ম হারানো নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তাছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপের কারণে তা অনেকাংশেই কমে এসেছে।
ম্যাবের সভাপতি ও নীলফামারী পৌরসভার মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইউএনডিপির এলআইইউপিসি প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান, ম্যাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম কতোয়াল, মহিলা অধিদপ্তরের মাহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ম্যাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাক খালেদ হোসেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউডিজেএফবি’র সহ-সভাপতি কামরুন্নাহার শোভা, সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল খান প্রমুখ।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, করোনার কারনে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও জীবিকা অর্জনের সকল ক্ষেত্রসমূহ সহ সকল কিছুর উপর প্রভাব পড়েছে। এ ভাইরাসের কারনে শহুরে দরিদ্রদের জীবন ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং নগর অর্থনীতি যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। কোভিড-১৯ সংকটটি সবাইকে প্রভাবিত করেছে, তবে নারী ও মেয়েরা আলাদাভাবে অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে প্রভাবিত হচ্ছে যা বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।