বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির কবলে শবে বরাত-৩
সুনানে ইবনে মাজায় বর্ণিত হয়েছে : হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
বাংলা ভাষা-সাহিত্যের চর্চা ও বিকাশে দেশের আলেম সমাজের ভূমিকা কারো অজানা নেই। তারা বাংলা ভাষার উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও শ্রী বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন ব্যক্তি স্বার্থ বা অর্থ লোভে নয়, নৈতিকতাও ঈমানী তাগিদে। কিন্তু তাদের নিরলস সাধনা ও সৃষ্টিকর্মের যথাযথ মূল্যায়নের অভাব, অস্বীকৃতি লক্ষ্য করা গেলেও তারা মুখ ফুটে বলেনি, বলে না। অথচ দেশের সুনাগরিক হিসেবে তাদের অধিকার, নানা ক্ষেত্রে তাদের জাতীয় কর্মকান্ডের যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া উচিত। এ পর্যায়ে বিশেষভাবে ভাষা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা নির্ণয় করলে ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি লাভ করবে নিঃসন্দেহে। একুশের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর সরকার নানামুখি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন, সবই উৎসাহব্যঞ্জক-প্রশংসনীয় এবং সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য, ‘একুশে পদক’ সেগুলোর মধ্যে অন্যতম।
অতীতে বাংলা ভাষার প্রতি অন্যায়-অবিচার চলতে থাকে পদে পদে এবং ভাষার অধিকার হতে বঞ্চিত হতে থাকে মানুষ। এই প্রেক্ষাপটে এ দেশের আলেম সমাজের যারা বাংলা ভাষায় বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাদের সংখ্যা বিপুল না হলেও মোটেই কম নয়। বাংলা ইসলামী সাহিত্য ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে তা মাইলফলক হিসেবে গণ্য হবে। ইসলামের নানা বিষয়ে তাদের রচনাবলির সঠিক সংখ্যা, এ যাবত নির্ণিত না হলেও অন্যদের তুলনায় এ সংখ্যা কম নয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচয় বহনকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বাদ দিয়ে বলতে হয় যে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে রচনাবলি প্রকাশিত হয়েছে। এমন বেশ কয়েকজনের নাম পেশ করা যায়, যাদের রচনাবলি উল্লেখযোগ্য।
অনেকে দুনিয়া হতে চিরবিদায় নিয়ে গেছেন- মওলানা ইসলামাবাদী, মওলানা আকরম খাঁ, মওলানা আবদুল্লাহ হিল কাফি, মওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী, মওলানা নূর মোহাম্মদ আজমী, মওলানা মোস্তাফিজুর রহমান (নোয়াখালী), মওলানা আব্দুর রহিম, মওলানা আলাউদ্দিন আজহারী, মওলানা আমিনুল ইসলাম, মওলানা মুহিউদ্দীন খান, মওলানা আখতার ফারুক, মওলানা হাফেজ আজিযুল ইসলাম প্রমুখ। তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তারা জাতির পক্ষ হতে মরণোত্তর পদক লাভের যোগ্য।
বর্ণিত বিশিষ্ট লেখকগণের সমষ্টিগত রচনাবলির সংখ্যা সহস্রাধিক হবে। বর্তমানের যেসব লেখক মওলানা বেঁচে আছেন, তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হলে দেখা যাবে, তাদের সংখ্যাও বিপুল। অন্যান্যদের ন্যায় তারাও সরকারি পদক লাভের অধিকারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।