পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে ‘ন্যাচারাল ডেথ (স্বাভাবিক মৃত্যু)’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গাজীপুরের জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতরের গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক মারা যান। এই মৃত্যু নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কি-না, যদি থাকে তবে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এছাড়া গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতরের পক্ষ থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সবগুলো কমিটিই ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মুশতাক আহমেদ গত বছরের ৬ মে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে অন্তরীণ হন। তিনি কারাগারে ইন্তেকাল করেন, সেটা আপনারা সবই শুনেছেন। প্রশ্ন আসছে, তিনি কারাগারে কীভাবে মৃত্যুবরণ করলেন?’
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছিলাম। গাজীপুরের ডিসি, তিনিও একটি কমিটি করেছিলেন, আইজি প্রিজন তিনিও তাৎক্ষণিকভবে একটি কমিটি করেছিলেন। সবগুলো কমিটির অভিমত এক রকম। তারা ভিডিও ফুটেজ ও কারাগারে যারা তার সঙ্গে অন্তরীণ ছিলেন, তার রুমে যে কয়জন ছিলেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক যারা ছিলেন, হাসপাতালে যখন নিয়ে গিয়েছেন- তাদের সবার অভিমত নিয়ে তারা যে রিপোর্টটি প্রদান করেছেন। সেই রিপোর্টে বলেছেন, এটা একটা ন্যাচারাল ডেথ হয়েছে। ন্যাচারাল ডেথ মানে অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়। সেটাই তারা তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবগুলো রিপোর্টেই এখন পর্যন্ত এইটুকুই পেয়েছি। আমরা ফাইনালি পোস্টমর্টেমের রিপোর্টের পরে আরও বিস্তারিত জানতে পারব। এই পর্যন্ত আমাদের কাছে যা আসছে, এর মূল হলো এটা ন্যাচারাল ডেথ হয়েছে। তিনি (মুশতাক আহমেদ) বাথরুমে গিয়েছিলেন। ওয়াশরুমে যাওয়ার পর সেখানেই তিনি অজ্ঞান হয়েছিলেন। তারপর তাকে কারাগারে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
সুরতহাল রিপোর্টেও মুশতাকের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পোস্টমর্টেমের রিপোর্টটি আসলেই আমরা চূড়ান্তভাবে জানতে পারবো। প্রাথমিকভাবে ডাক্তাররা যে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সেটাই আমাদের রিপোর্টে আসছে, সেটাই আমি আপনাদের জানালাম।’
এই ধরনের তদন্তে প্রকৃত বিষয় উঠে আসে না। সেক্ষেত্রে অধিকতর তদন্ত, কেউ কেউ বিচার বিভাগীয় তদন্তের কথা বলছেন। আপনি কী মনে করছেন— জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যেগুলো বললেন, এগুলোকে মাথায় রেখেই আমরা মন্ত্রণালয়ে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি টিম করে দিয়েছিলাম। সেখানে ডিসিও তাৎক্ষণিকভাবে একটি এবং কারা কর্তৃপক্ষও একটি টিম করেছিলেন। আসলে ঘটনাটা কী সেটা জানার জন্য। কাজেই এখানে যদি কারো অনিয়ম বা গাফিলতি কারো থাকত তাহলে নিশ্চয়ই জানাতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর বাইরে যদি কিছু থাকে সেটা পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আসলে আপনাদের সেটা জানাব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।