Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুমিল্লায় ভোটকক্ষে ব্যালট প্রদর্শন আ.লীগ নেতাদের ফটোসেশন

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২১, ১২:০০ এএম


কুমিল্লার এক ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ভোটকক্ষে ব্যালট প্রদর্শন করে ফটোসেশন করেছেন। তারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে সিল মারা সেই ব্যালট বাক্সে ফেলার আগে ছবি তুলেন। পরে এই ছবি ইউপি চেয়ারম্যানের নিজের ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে।
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর (দক্ষিণ) ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাকিম দলের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে গত রোববার ওই উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন চলাকালে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর ভোটকক্ষেই ছবি তুলে সোমবার ফেসবুকে ছেড়ে এ ঘটনার জন্ম দেন। চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম বলেন, তার সাথে থাকা দলের দুই সিনিয়র নেতার অনুরোধে তিনি ছবি তুলেছেন। তার ভাতিজা ফয়সাল ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেছে। তিনি ফেসবুক চালাতে পারেন না বলেও জানান।
গত রোববার দেবিদ্বার উপজেলার ১১৪টি ভোট কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গুনাইঘর (দক্ষিণ) ইউনিয়নের দুইবারের নির্বাচিত ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বাদল মুন্সী ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন ভ‚ইয়াকে সঙ্গে নিয়ে গলায় নৌকা মার্কার ফিতা ও ব্যাজ পরে তার ইউনিয়নের মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করতে যান। এসময় তিনি নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সামনেই সিলমারা ব্যালট পেপারের ছবি তুলে তার তার নামে থাকা ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেন। এতে লেখা হয় ‘আলহামদুলিল্লাহ। প্রাণের নৌকায় ভোট দিলাম।’ ছবিতে আওয়ামী লীগ নেতা বাদল মুন্সীর হাতেও সিল মারা ব্যালট পেপার ছিল। এভাবে ফটোসেশনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নৌকার সিল মারা ছবি ফেসবুকে আপলোডের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গোপন কক্ষে ব্যালট পেপারে সিল মেরে তা নির্ধারিত বাক্সে ফেলার বিধান। কিন্তু প্রকাশ্যে এনে ছবি তুলে তা আবার ফেসবুকে পোস্ট করা আইনগতভাবে দÐনীয় অপরাধ। একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান তা করে থাকলে তা নিশ্চিত দÐনীয় অপরাধ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ