Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষ, আহত ১০

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২১, ৫:০৯ পিএম

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য ও স্থানীয় যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এলাকার একটি মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত পড়ার’ ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে জড়ো করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে বেশ কিছু মোটরসাইকেল।
মঙ্গবার আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শামীম ও রুহুল আমিন নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম বলেন, ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক ভূঁইয়ার মধ্যে বিরোধ ছিল। এর জেরে তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুরাতন ইপিজেডের এক্সপিরিয়েন্স ক্লোথিং লিমিডেট নামে কারখানায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকার ঝুট ব্যবসা করে আসছে। তবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কারখানার সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক ভুইয়ার ছেলে মনির হোসেনের ব্যাবসায়ীক চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে দাবী করেন মনির হোসেন। খবর পেয়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে ভাদাইলে মহড়া দেয় যুবলীগের নেতা কর্মীরা। এসময় মনিরের লোকজনের সাথে তাদের সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
সংর্ঘষের সময়ের ঘটনাস্থলের পাশে একটি বাড়ির বাইরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে একটি দল। ভাংচুর করা হয় মোটরসাইকেল।
ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে দেখা যায় কয়েকজনকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক ভুইয়ার ছেলে মনির হোসেন বলেন, যুবলীগ নেতা কবিরের লোকজন তার ওপর হামলা করতে এলাকায় আসে। তখন এলাকায় পারিবারিক মসজিদ থেকে ‘ডাকাত পড়েছে’ বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে মনির বলেন, ঢাকা ইপিজেড জোনের ভিতরে আমার ওয়েস্টেজ ব্যবসা। সকাল বেলা আমার দুইজন কর্মী ওয়েস্টেজ ভরার জন্য ইপিজেডের গেটে যায়। ওই জায়গায় কবির সরকারের লোকজন চরাও হয়ে আমার ছেলেদের উপর আক্রমণ করছে। এমনকি দা আঘাত করে। পরে তারা পুনরায় হামলার জন্য ভাদাইলে আমার বাসায় চলে আসে। চার-পাঁচ রাউন্ডের মত ফাঁকা গুলি করেছে। ওদের হাতে বড় বড় রাম দা ছিল। এঅবস্থায় আমাদের পারিবারিক মসজিদ থেকে আমার বাসায় ডাকাত পড়ছে ঘোষনা দিলে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, মসজিদের মাইকে মেম্বারের বাড়িতে ডাকাত পড়ছে শুনে এসে দেখি অনেকগুলা মোটরসাইকেল ভাঙ্গা পরে রইছে। তবে কারা ভাংছে আমি দেখি নাই। পরে পুলিশ এসে ভাংচুর করা মোটরসাইকেলগুলো পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কবির হোসেন সরকারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষে আহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ